ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

শীতের আবহ, ব্যস্ত সময় কাটছে হিলির গাছিদের

মোসলেম উদ্দিন  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৩১, ২৮ অক্টোবর ২০২১   আপডেট: ১৫:৫৩, ২৮ অক্টোবর ২০২১
শীতের আবহ, ব্যস্ত সময় কাটছে হিলির গাছিদের

হেমন্ত শুরু হয়েছে। এ ঋতু পার হলেই আসবে শীত। কিন্তু উত্তরবঙ্গে প্রকৃতিতে এখনই শীতের আবহ। তাই রস সংগ্রহে খেজুরের গাছ চাঁছায় ব্যস্ত সময় পার করছেন দিনাজপুরের হিলির গাছিরা।

হিলি শহর, গ্রাম ও রাস্তা-ঘাট ঘুরে দেখা যায়, সুস্বাদু রস পাওয়ার আশায় গাছিরা খেজুরের গাছ পরিস্কার ও চাঁছ দেওয়া শুরু করে দিয়েছেন। সপ্তাহের ব্যবধানে আবার চাঁছ দিবেন। এভাবে তৃতীয় দফা চাঁছের পর নামতে শুরু করবে কাঙ্ক্ষিত রস। 

আলাপকালে পেশাজীবী একজন গাছি জানালেন, তারা গৃহস্থর কাছ থেকে টাকার বিনিময়ে রসের পুরো মৌসুম গাছ কিনে নেন। আবার রসের বিনিময়েও গাছ লাগান গাছিরা। কিছু গৃহস্থকে দেখা যায় নিজেদের চাহিদা মেটাতে নিজেরাই খেজুর গাছে চাঁছ দিচ্ছেন।

দিনাজপুরে খেজুরের রস শীতকালের অত্যন্ত জনপ্রিয় খাবার। খেজুর রসের পিঠা খাওয়া চাই সবার। বিশেষ করে গ্রাম-গঞ্জে খেজুর রসের পিঠাপুলি খাওয়ার ধুম পড়ে যায়।  এছাড়াও মুড়ি দিয়ে টাটকা মিষ্টি খেজুরের রস খাওয়াও অনেকের পছন্দের। শীতের সকালে রস খাওয়া গ্রাম-বাংলার মানুষের চিরন্তন অভ্যাস। আবার অনেক গৃহস্থ খেজুরের গুড় তৈরি করেন।

হিলির ধাওয়া মুণশাপুর গ্রামের রজব আলী বলেন, আমার বাড়িতে পুরাতন খেজুরের গাছ আছে। খেজুর রস আমার পরিবারের সবাই পছন্দ করে। শীত পড়ে যাচ্ছে, তাই গাছ পরিষ্কার করে এক চাঁছ দিয়েছি। আরও দুই চাঁছ দেওয়ার পর রস নামতে শুরু করবে।

হরিহরপুর গ্রামের রস পিয়াসু আশরাফুল ইসলাম বলেন, পুকুর পাড়ে খেজুর গাছ হয়েছে। নতুন গাছে অনেক রস হবে আশা করছি। 

একই গ্রামের আকবর আলী বলেন, শীতকালীন খেজুরের রস খেতে খুব ভালবাসি। আশেপাশে কয়েকজন গাছি আছে। শীত এলেই তাদের কাছ থেকে রস কিনে নিজে খাই। 

মুণশাপুর গ্রামের গাছি শফিকুল ইসলাম বলেন, বাপ-দাদার আমল থেকে এটা আমাদের পেশা। আগে বাবা এই পেশায় ছিলেন, এখন তার বয়স হয়েছে, তাই আমি করছি।  ৬০টির মতো খেজুরের গাছ নিয়েছি। শীত নেমে যাচ্ছে, তাই গাছগুলো পরিষ্কার করছি। কয়েক দিনের মধ্যে পরিষ্কার শেষ হবে, তারপর চাঁছ দিবো। গড়ে ২০ থেকে ২৫ দিনের মধ্যে আশা করছি রস বাজারে বিক্রি করতে পারবো।

দিনাজপুর/টিপু    

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়