ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

প্রতারক রুমা দুই দিনের রিমান্ডে

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০১:৫৬, ১৪ নভেম্বর ২০২১  
প্রতারক রুমা দুই দিনের রিমান্ডে

আইজিপির স্ত্রী পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করা রুমা আক্তারকে দুই রিমান্ডে পাঁঠিয়েছেন আদালত।

শনিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইলের সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট শামমুসল আলম তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সন্ধ্যায় আদালত পরিদর্শন তানভীর আহমেদ রাইজিংবিডিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ জানায়, ৭ নভেম্বর পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদের স্ত্রী পরিচয় দিয়ে রুমা আক্তার (৩২) টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সারের ব্যক্তিগত মুঠোফোনে ফোন করেন। ফোন করে বলেন, আপনিকি পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার। আমার বাসায় একজন কাজের মেয়ে রয়েছে। তার ভরণ-পোষন এবং বিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব আমি নিয়েছি। একটি ভালো ছেলে পেয়েছি ওই কাজের মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার জন্য। এজন্য ছেলেটিকে পুলিশের কনস্টেবল পদে একটি চাকুরি দিতে হবে। আমি ছেলেটির তথ্য পাঠালাম। ওর জন্য কনস্টেবল পদে নিয়োগের ব্যবস্থা করে দিবেন।

পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন আইজিপি’র স্ত্রী পরিচয় দেওয়া ওই নারী একজন প্রতারক। পরে বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) রাতে ঢাকার সাভার থেকে ওই নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত রুমা আক্তার বাগেরহাটের চিতলমারি উপজেলার আসলাম মিয়ার স্ত্রী।

টাঙ্গাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোশারফ হোসেন জানান, ৭ নভেম্বর সকাল ১১টার দিকে ওই নারী এসপি’র ব্যক্তিগত মুঠোফোন নম্বরে ফোন করে নিজেকে আইজিপির স্ত্রী পরিচয় দেন। এরপর তিনি বাংলাদেশ পুলিশের কনস্টেবল পদে একজন প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে চাপ দেন এবং ১১টা ২৪ মিনিটে মুঠোফোনে এসএমএসে ওই প্রার্থীর তথ্য পাঠান।

এ নিয়ে সন্দেহ হলে পুলিশ সদর দপ্তরের এলআইসি শাখা গোয়েন্দা ও পযুক্তিগত তথ্য বিশ্লেষণ করে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থানার আটিবাজার ঘাটারচর এলাকায় ওই নারী প্রতারকের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে সাভার থেকে ওই প্রতারক রুমা আক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়।

শনিবার সকালে টাঙ্গাইল সদর থানার এসআই আব্দুস সালাম বাদি হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রুমা আক্তারের নিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। দুপুরে রুমাকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। বিচারক দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানান, পুলিশের উর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তার স্ত্রী পরিচয় দিয়ে পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগের জন্য তদবির করায় সন্দেহ হয়। পরে খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায় পরিচয়দানকারী ওই নারী একজন প্রতারক। তার নাম রুমা আক্তার। পরে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে সাভারের লুটেরচর থেকে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

কাওছার/ মাসুদ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ