ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

জামালপুরের ঐতিহ্যবাহী খাবার মিল্লি 

সেলিম আব্বাস, জামালপুর || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৫৭, ২ মার্চ ২০২২  
জামালপুরের ঐতিহ্যবাহী খাবার মিল্লি 

ঐতিহ্যবাহী খাবার মিল্লি

নাম শুনে যারা বুঝতে পারছেন না মিল্লি কী, তাদের বলি, এটা জামালপুর জেলার শত বছরের ঐতিহ্যবাহী খাবার। স্থানীয়ভাবে সবচেয়ে সুস্বাদু আর জনপ্রিয় খাবারের তালিকায় এটি অন্যতম। 

মিল্লি কিন্তু প্রতিদিনের খাবার নয়। কারও মৃত্যু বা কোনো বিশেষ অনুষ্ঠানে এ খাবার পরিবেশন করা হয়। অনেকে আবার এটাকে ‌‘ম্যান্দা’ নামেও ডাকেন। কেউ ডাকেন পিঠালি বলে। যে নামেই ডাকা হোক না কেন, এ খাবার জামালপুরবাসীর প্রিয়। খেলেই শুধু বোঝা যায়, কেন এই মিল্লির নাম শুনলে জিভে পানি চলে আসে।

মিল্লি তৈরিতে উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত হয় গরু, খাসি অথবা মহিষের মাংস, চালের গুঁড়া, আলু, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, জিরাসহ নানা প্রকার মসলা।

মৃত্যুর ৪০ দিন পর যে দোয়ার আয়োজন করা হয়, তাকে এই জেলায় বেপার বলে। প্রায় আট দশ বছর আগে সব শ্রেণির মানুষকে একসঙ্গে বসে কলাপাতায় ভাতের সঙ্গে গরম গরম মিল্লি খেতে দেখা যেত। কিন্তু এখন আর কলাপাতায় খেতে দেখা যায় না। এখন প্লেটে ব্যবস্থা করে থাকেন। এলাকার মুসলমানেরা বিয়ে, আকিকা, খতনাসহ নানা উৎসবে মিল্লির আয়োজন করেন। এ ছাড়া, স্থানীয়রা নিজেদের বাড়িতেও মিল্লি রান্না করে খেতে পছন্দ করেন।

ঠিক কখন থেকে জামালপুরবাসী মিল্লির সঙ্গে সখ্য গড়ে তুলেছেন, তার সুস্পষ্ট কোনো ইতিহাস জানা যায়নি। তবে ধারণা করা হয়, শত বছরের বেশি সময় ধরে জামালপুরবাসী মিল্লির ঐতিহ্য লালন করছেন। স্বাধীনতার আগেও নাকি বিচার-সালিশ বৈঠকে ও বিয়ের অনুষ্ঠানে মিল্লি পরিবেশন করা হতো। সেই ধারাবাহিকতায় এখনো মিল্লির প্রচলন ব্যাপকহারে রয়েছে। মিল্লি দেখতে অনেকটা হালিমের মতো। তবে খেতে অনেক সুস্বাদু।

মিল্লি তৈরি করতে গিয়ে চালের গুঁড়ার কথা বলতেই হবে। এই চালের গুঁড়া খাবারটাকে ঘন করে, তাতেই পূর্ণ হয় স্বাদ।

/মাহি/

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়