চট্টগ্রামে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পাচ্ছেন ১২১৬ পরিবার

তৃতীয় ভূমিহীন ও গৃহহীন ১ হাজার ২১৬টি পরিবারকে ঈদ উপহার হিসেবে জমিসহ মুজিব বর্ষের ঘর দেওয়া হচ্ছে। আনোয়ারা উপজেলার ৬ নম্বর বারখাইন ইউনিয়নের হাজীগাঁও আশ্রয়ণ প্রকল্পে আগামী ২৬ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০টায় এ ঘর প্রদান করা হবে। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

রোববার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান এসব কথা বলেন।

মমিনুর রহমান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারিতে নোয়াখালী সফরে গিয়ে আশ্রয়হীনদের জন্য প্রথম পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেন। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সব ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে বাসস্থান নিশ্চিতের ঘোষণা দিয়েছেন। সরকারি উদ্যোগে দেশের সব ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ভূমি ও গৃহ প্রদানের এ নজির পৃথিবীর বুকে অনন্য। 'মুজিবশতবর্ষে একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না' প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সারাদেশে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ২ শতাংশ জমিসহ সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে ঘর প্রদানের কার্যক্রম গ্রহণ করেন। তারই ধারাবাহিকতায় প্রথম পর্যায়ে  প্রধানমন্ত্রী ২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারি সারাদেশে ৬৯ হাজার ৯০৪টি পরিবারকে ২ শতাংশ জমিসহ ঘর বরাদ্দ করেন।

তিনি আরও বলেন, সারাদেশের ন্যায় চট্টগ্রাম জেলায় প্রথম পর্যায়ে ১ হাজার ৪৪৪টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ২ শতাংশ জমিসহ সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে ঘর প্রদান করা হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে  ২০২১ সালের ২০ জুন সারাদেশে ৫৩ হাজার ৩৪০টি পরিবারকে ঘর প্রদান করা হয়। ওই সময় চট্টগ্রাম জেলায় ৬৪৯টি পরিবারকে জমিসহ ঘর দেওয়া হয়েছিল। 

জেলা প্রশাসক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেওয়া উদ্যেগে অংশ নিতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো আগ্রহ দেখাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে বেসরকারি উদ্যোগে চট্টগ্রাম জেলায় ১২০ টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প খাতে অর্থ অনুদান দিচ্ছেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী তৃতীয়  ধাপে আগামী ২৬ এপ্রিল সারাদেশে ৩২ হাজার ৯০৪ টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ২ শতাংশ জমিসহ ঘর প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন। আশ্রয়ণ প্রকল্পের নির্ধারিত নমুনা ও ডিজাইন অনুসরণ করে উন্নতমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করে এসকল টেকসই এবং মানসম্মত ঘর নির্মাণ করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলায় ৮৫টি, কর্ণফুলী উপজেলায় ১০টি, আনোয়ারা উপজেলায় ১৩০টি, বোয়ালখালী উপজেলায় ৪৫টি, চন্দনাইশ উপজেলায় ৬৫টি, সাতকানিয়া উপজেলায় ২৮ টি, লোহাগাড়া উপজেলায় ১৪৫টি, বাঁশখালী উপজেলায় ১২০টি, রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় ৭০টি, রাউজান উপজেলায় ৫৬টি, হাটহাজারী উপজেলায় ২৪টি, ফটিকছড়ি উপজেলায় ৩৯০টি, সীতাকুণ্ড উপজেলায় ২৮টি, মীরসরাই উপজেলায় ২০টি পরিবার ঘর পাচ্ছেন।

এ সময় অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) নাজমুল আহসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( এল.এ) মাসুদ কামাল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ উল্লাহ মারুফসহ আরও অনেকে।