ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশের বিশেষ নজরদারি

কক্সবাজার প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:২৮, ১ মে ২০২২   আপডেট: ১৫:৩১, ১ মে ২০২২
পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশের বিশেষ নজরদারি

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে কক্সবাজারে প্রায় দুই লাখ পর্যটকের আগমনের সম্ভাবনা রয়েছে। ভ্রমণরত পর্যটক ও দর্শনার্থীদের নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ট্যুরিস্ট পুলিশের বিশেষ নজরদারি রয়েছে। পর্যটকদের বিশেষ নিরাপত্তা ও সেবামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

রোববার (১ মে) দুপুর ১২টায় এসব বিষয় নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের নব নিযুক্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল করিম।

তিনি বলেন, সমুদ্রসৈকতে পর্যটকরা যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে ঘুরতে পারেন সেজন্য ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে বিশেষ নজরদারি রয়েছে। সেইসঙ্গে বিভিন্ন হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট, রেস্তোরাঁ এবং গেস্ট হাউজগুলোতে যাতে পর্যটক হয়রানি কিংবা প্রতারণার মাধ্যমে অতিরিক্ত মূল্য গ্রহণ করতে না পারে সে ব্যাপারে যথেষ্ট সজাগ রয়েছে পুলিশ।

এ রকম কোনো অভিযোগ পেলে সঙ্গে সঙ্গে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।

রেজাউল করিম আরও বলেন, পর্যকদের নিরাপত্তায় নজরদারির জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশের একটি টিম সাদা পোশাকে সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবে। পর্যটক ও দর্শনার্থীদের তাৎক্ষণিক নিরাপত্তা ও সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে ৬টি ‘ট্যুরিস্ট হেল্প ডেস্ক’ স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও প্রতিটি হেল্প ডেস্কে ফাস্ট এইড বক্স সরবরাহের মাধ্যমে পর্যটকদের প্রাথমিক চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে। 

তিনি বলেন, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সমুদ্র সৈকত, হোটেল মোটেল জোন, ঝাউবাগান এলাকাসহ বিভিন্ন পয়েন্টে ছিনতাই প্রতিরোধ, ইভটিজিং বা পর্যটক হয়রানি রোধে সার্বক্ষণিক বিচ বাইক, ওয়াটার বাইক, মোটরসাইকেল পেট্রোলিং এর ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং প্রয়োজনে বিশেষ সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী ঈদ পরবর্তী কয়েকদিন আবহাওয়া চরমভাবাপন্ন থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ট্যুরিস্ট পুলিশ পর্যটক ও দর্শনার্থীদের জন্য বিশুদ্ধ এবং সুপেয় পানির ব্যবস্থা করেছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, সমুদ্র সৈকতে হারিয়ে যাওয়া শিশুদের দ্রুত উদ্ধার করে অভিভাবকদের কাছে হস্তান্তরের লক্ষ্যে ‘চাইল্ড সাপোর্ট সেন্টার’ এবং পর্যটকদের হারিয়ে যাওয়া মোবাইল, মানিব্যাগ বা অন্যান্য মালামাল উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকের কাছে হস্তান্তর করার জন্য  প্রত্যেকটি হেল্প ডেস্কে ‘লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড সেন্টার’ স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও সমুদ্র সৈকত এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য ১টি ‘ওয়াচ টাওয়ার’ এবং ৭ টি ‘পর্যবেক্ষণ সেন্টার’ স্থাপন করা হয়েছে।
 

তারেকুর/সুমি

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়