ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

হাটে পশু আছে, ক্রেতা নেই

পঞ্চগড় প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:০৩, ৩ জুলাই ২০২২   আপডেট: ২১:০৩, ৩ জুলাই ২০২২
হাটে পশু আছে, ক্রেতা নেই

পঞ্চগড়ের রাজনগর পশুর হাটে একটি উন্নত জাতের ষাঁড় নিয়ে এসেছিলেন মাসুদ রানা। ২২ মণ ওজনের ষাঁড়টির দাম হাঁকিয়েছিলেন ছয় লাখ টাকা। দুইজন ক্রেতা ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত দাম বললেও পরে আর কেউ কাছেও আসেনি। দাম কাঙ্ক্ষিত না হওয়ায় তিনি গরুটি বিক্রি না করেই ফিরিয়ে নিয়ে গেছেন।

একই অবস্থা শহরের কামাতপাড়া এলাকার খামারি আবু তাহেরের। তিনি ১০টি গরু নিয়ে হাটে এসেছিলেন। প্রতিটির দাম চেয়েছেন ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা করে। কিন্তু কোনো ক্রেতাই দাম ১ লাখ ৫ হাজারের বেশি বলেননি। এই খামারি বলেন, ‘এই দামে গরু বিক্রি করলে লোকসান গুণতে হবে। হাটে ক্রেতা নেই বললেই চলে।’

রোববার (৩ জুলাই) রাজনগর পশুর হাট ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা যায়। ব্যাপারীরা বলছেন, হাটে গরু উঠেছে প্রচুর। তবে ক্রেতা অনেক কম। ঈদের এখনো সাত দিন বাকি। আশা করি সামনে ক্রেতা সমাগম বাড়বে।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হাটে মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা বেশি। তাই বড় গরু নিয়ে খামারিরা বিপাকে পড়েছেন। অন্যান্য বছর ঈদের আগে ব্যাপারীরা পঞ্চগড় থেকে গরু কিনে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ দেশের বড় বড় শহরে নিয়ে যেতেন। কিন্তু এবার বাহির থেকে ব্যাপারীরা আসেননি।

গরু ব্যবসায়ী মুসলিম উদ্দিন বলেন, ‘হাটে বিভিন্ন আকারের পাঁচটি উন্নত জাতের গরু বিক্রি করতে এনেছি। এর মধ্যে, মাত্র একটি গরু বিক্রি করেছি। বাইরের ব্যবসায়ী নেই বললেই চলে। আর স্থানীয় ক্রেতারা যে দাম বলছেন সেই দামে গরু বিক্রি করলে গরু প্রতি ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা লোকসান হবে। তাই বাধ্য হয়ে চারটি গরু ফেরত নিয়ে যাচ্ছি।’

চট্টগ্রাম থেকে এই হাটে গরু কিনতে এসেছেন নেজাম উদ্দিন ব্যাপারী। তার দাবি, বিক্রেতারা বেশি দাম হাঁকাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘আমি এই হাটে ৩৫টি গরু কেনার টার্গেট নিয়েছিলাম। কিন্তু দাম বেশি হওয়ায় সেই টার্গেট পূরণ নাও হতে পারে।’

হাটের ইজারাদার মোশারফ হোসেন বলেন, ‘হাটে প্রচুর গরু রয়েছে, কিন্তু বিক্রি খুবই কম। কোরবানির পশুর হাট সুষ্ঠুভাবে নিয়ন্ত্রণের জন্য হাটে পুলিশ সদস্যরা রয়েছেন। এছাড়া জাল টাকা শনাক্তের জন্য হাটের বিভিন্ন জায়গায় কয়েকটি বুথ রয়েছে।’

নাঈম/কেআই

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়