ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

ইতিহাস-ঐতিহ্যের সাক্ষী কুমিল্লার ৩ জমিদার বাড়ি

রুবেল মজুমদার, কুমিল্লা সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৩৫, ১১ আগস্ট ২০২২   আপডেট: ১৬:৫৯, ১১ আগস্ট ২০২২
ইতিহাস-ঐতিহ্যের সাক্ষী কুমিল্লার ৩ জমিদার বাড়ি

জাহাপুর জমিদার বাড়ি

সময়ের প্রবাহে বিলুপ্ত হয়ে গেছে জমিদারি প্রথা। হারিয়ে গেছে জমিদারদের প্রতাপ। কিন্তু মুছে যায়নি তাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্য। তেমনই ইতিহাস ঐতিহ্যর সাক্ষী হয়ে এখনো দাঁড়িয়ে আছে কুমিল্লার মুরাদনগরের জাহাপুরসহ তিনটি জমিদার বাড়ি।  

জাহাপুর জমিদার বাড়ি: প্রায় ৪০০ বছর আগে জাহাপুর জমিদার বাড়ি নির্মাণ করা হয়। কমলাকান্ত রায় নামের একজন বাড়িটি নির্মাণ করেন। জমিদার বাড়িটি প্রবেশ পথেই রয়েছে মুখোমুখি দুটি সিংহ। এখানে রয়েছে অনেক বড়ো একটা জগন্নাথ মন্দির। বিভিন্ন সময় পূজা পালন করা হয় এই মন্দিরে। এই জমিদার বাড়ির নকশায় মোঘল রীতিতে অঙ্কিত নকশা দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়া এই বাড়িতে জমিদার আমলে ব্যবহৃত আসবাবপত্র দেখতে পাওয়া যায়।

বাঙ্গরা রূপবাবু জমিদার বাড়ি : ২৫০ বছর আগে মুরাদনগরের বাঙ্গরা পূর্ব ইউনিয়নের ৯টি গ্রামজুড়ে ছিলো রূপবাবুদের জমিদারি।

১৮০০ সালে শান্তমনি দেবীর নামে অসাধারণ নকশায় একটি দাতব্য চিকিৎসালয় স্থাপন করেন রূপবাবু। সে সময় গ্রামের মানুষরা ওই চিকিৎসালয়ে চিকিৎসা নিতে আসতেন। এখন এ দতব্য চিকিৎসালয়টি রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কারের অভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। চিকিৎসা কেন্দ্রের ভবনটির নকশায় জং ধরেছে, ক্ষয়ে পড়ছে দেওয়ালের পলেস্তারা।

বাঙ্গরা বাজার, জেলা প্রশাসকের ডাক বাংলো রূপ বাবুদের দেওয়া। বাঙ্গরা বাজারে অগ্রণী ব্যাংক শাখাও রূপবাবুদের নামে। জমিদার রূপবাবুর এক ছেলের নাম মানিক বাবু। মানিক বাবুর তিন ছেলে। দেবী প্রসাদ মজমুদার, শিবু প্রসাদ মজুমদার ও শ্যামা প্রসাদ মজুমদার। তাদের মধ্যে শ্যামা প্রসাদ ও দেবী প্রসাদ মজুমদার ঢাকায় থাকেন। 

কুমিল্লায় পানপট্টির বাঙ্গরা হাউজে থাকেন শিবু প্রসাদ মজুমদার। তিনি বিভিন্ন সময়ে তারা বাপ-দাদার ভিটেতে যান বলে শোনা যায়।

রহিমপুরের পোদ্দার জমিদার বাড়ি (নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়ন):  ইটের কারুকাজ স্বয়ংসম্পূর্ণ পোদ্দার জমিদার বাড়ি। বাড়িটিতে প্রবেশ করতেই  দেখা হয় বাড়ির বর্তমান কর্তা পিংকো পোদ্দারের সঙ্গে। 

পিংকো পোদ্দার জানান, বাড়িটির বয়স ১১৫ থেকে ১২০ বছরের বেশি। জমিদারি প্রথা উঠে যাওয়ার পর থেকে এই বাড়ির ঘরগুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে। আমার দাদামহ এ বংশের জমিদার ছিলেন। শুনেছি বাঙ্গরা রূপবাবুসহ কুমিল্লার জমিদাররাও আমার দাদামহ মনমোহন পোদ্দারের কাছে আসা যাওয়া করতেন। তার বেশ প্রতিপত্তি ছিল।

মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়