মিনারার ভাগ্যে জোটেনি সরকারি বাড়ি ও বিধবা কার্ড
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
সন্তানদের সঙ্গে মিনারা খাতুন
মিনারা খাতুন (৪০)। হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার চরনুরআহমদ এলাকার বাসিন্দা। স্বামী শামীম মিয়া মারা গেছেন প্রায় ৬ বছর আগে। ভিটেমাটি না থাকায় জংশন এলাকার বিভিন্ন স্থানে দুই মেয়ে ও দুই ছেলেকে নিয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন তিনি। শারীরিক দুর্বলতার কারণে ভিক্ষা করে কোনো মতে ছেলেমেয়েদের ভরণপোষণ করছেন তিনি।
দৈনিক ভিক্ষা আর স্থানীয় কিছু হৃদয়বান মানুষের আর্থিক সহযোগীতায় কোনো মতে বেঁচে আছেন তারা।
মিনারা খাতুন বলেন, আমার স্বামী মারা যাওয়ার প্রায় ৬ বছর হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে একটি বিধবা ভাতার কার্ড পায়নি। অনেক দরিদ্র লোকেরা পেলেও আমার ভাগ্যে জোটেনি প্রধানমন্ত্রীর উপহারের বাড়ি। বর্তমানে সব জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় ছেলে-মেয়েদের নিয়ে অনেক সমস্যায় আছি। সরকার যদি আমাকে একটা বিধবা কার্ড ও বাড়ি দিতো তাহলে ছেলে-মেয়েদের নিয়ে কিছুটা হলেও ভালো থাকতে পারতাম।
এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জালাল উদ্দিন মোহন বলেন, ‘মিনারা খাতুন খুবই দরিদ্র একজন মানুষ। তার স্বামী বেঁচে নেই। চার সন্তান নিয়ে বিরাট সমস্যায় আছেন। আমি নানা সময়ে তাকে সহায়তা করে থাকি। তাকে দ্রুত সরকারিভাবে একটি বাড়ি দেওয়া হোক। বিধবার কার্ড তার প্রাপ্য।’
শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ গাজীউর রহমান ইমরান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পক্ষ থেকে শায়েস্তাগঞ্জে অনেক অসহায় লোকজনকে জমিসহ বাড়ি প্রদান করা হয়েছে। দেওয়া হচ্ছে নানা ধরণের ভাতার কার্ড। এখানে মিনারা খাতুন আবেদন করলে তাকেও বাড়ি দেওয়া হত। যাই হোক আমি তার (মিনারা খাতুন) বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ তালুকদার ইকবাল ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাজরাতুন নাঈমকে জানাবো। আমার বিশ্বাস তারা এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।’
মামুন চৌধুরী/ মাসুদ
আরো পড়ুন