ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

‘মজুরি বৃদ্ধি ছাড়া চা শ্রমিকরা কাজে ফিরবে না’ 

মৌলভীবাজার সংবাদদাতা  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৪০, ১৬ আগস্ট ২০২২   আপডেট: ১৯:২১, ১৬ আগস্ট ২০২২
‘মজুরি বৃদ্ধি ছাড়া চা শ্রমিকরা কাজে ফিরবে না’ 

মৌলভীবাজারের ৯২টিসহ দেশের ১৬৭টি চা বাগানে মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিকদের ধর্মঘট অব্যাহত রয়েছে। শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলতে শ্রীমঙ্গলে আসেন শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী। তিনি ধর্মঘট স্থগিত করে আলোচনায় বসার আহ্বান জানালে চা শ্রমিক ইউনিয়ন তা প্রত্যাখান করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়।  

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত শ্রম উপপরিচালক ও রেজিস্ট্রার অব ট্রেড ইউনিয়নের সভাকক্ষে চা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী। 

আলোচনা শুরু আগে মহাপরিচালক বলেন, তিনি মজুরি নিয়ে কথা বলতে আসেননি। মজুরি নিয়ে কথা বলবেন মজুরি কমিশন, মন্ত্রী, সচিব, ও মালিক পক্ষ। 

তিনি বলেন, শ্রমিকরা ধর্মঘট করায় প্রতিদিন বাগান মালিকদের ৮ কোটি টাকা লোকসান হচ্ছে। তিনি আলোচনার মাধ্যমে চেষ্টা করবেন যাতে শ্রমিকরা আন্দোলন থেকে সরে আসে।

তবে চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল জানান, তারা আন্দোলনের যে পর্যায়ে আছেন,  সেখান থেকে ফেরা সম্ভব না। তৃণমূল পর্যায়ে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে, সেখান থেকে মজুরি বৃদ্ধির ঘোষণা আসা ছাড়া ফেরা যাবে না। 

মিটিংয়ে শ্রম অধিদফতরের শ্রীমঙ্গল কার্যালয়ের উপপরিচালক নাহিদুল ইসলাম, চা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মাখন লাল কর্মকার, সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল, সাত ভ্যালির সভাপতিসহ অন্তত ৪০ চা—শ্রমিক নেতা বৈঠকে অংশ নেন বলে জানিয়েছেন কানিহাটি চা বাগানের শ্রমিক নেতা সীতারাম বিন।

বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সিলেট ভ্যালির সভাপতি রাজু গোয়ালা বলেন, বৈঠকে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আমাদের একটাই দাবি ছিলো— দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করা। কিন্তু বৈঠকেও মালিকপক্ষ কেউ ছিলেন না। আমাদের দাবিও মানা হয়নি। তাই আমরা আন্দোলন অব্যাহত রাখবো।

প্রতিদিন ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে গত ৯ আগস্ট থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত চার দিন দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করেন চা শ্রমিকরা। পরে ১৩ আগস্ট থেকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করছেন তারা। দাবি না মানা পর্যন্ত তাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলেও জানান শ্রমিক নেতারা। 

শ্রমিক নেতারা বলেন, দীর্ঘ ১৯ মাস থেকে তাদের মজুরি বাড়ানোর বিষয়ে মালিকপক্ষ কথা বলতে রাজি হচ্ছে না। দুই বছর পরপর মজুরি বৃদ্ধির করার কথা। শ্রমিকরা এখন প্রতিদিন মাত্র ১২০ টাকা করে মজুরি পান।
 

হামিদ/বকুল

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়