আব্দুল মালেক উকিল মেডিক্যাল কলেজে বিক্ষোভ অব্যাহত

আবাসিক সুবিধা নিশ্চিতকরণসহ বিভিন্ন দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো নোয়াখালী আব্দুল মালেক উকিল মেডিক্যাল কলেজের একাডেমিক ভবনের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি করছেন। এতে অচল হয়ে পড়েছে কলেজের সব কার্যক্রম। ভোগান্তিতে পড়েছেন ডোপ ও করোনা টেস্ট করতে আসা শত শত মানুষ।

বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পরে একাডেমিক ভবনের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন তারা। এরপর ক্যাম্পাসের অনিয়ম দুর্নীতি বন্ধে সাধারণ শিক্ষার্থীরা গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করেন।

কলেজের শিক্ষার্থীরা জানায়, যতক্ষণ পর্যন্ত দাবি আদায় না হবে, কর্মসূচি চলবে।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো-দীর্ঘদিন কলেজের হোস্টেল ও ডাইনিংয়ে পর্যাপ্ত বৈদ্যুতিক পাখা, লাইট, চেয়ার, টেবিলের সংকট, হোস্টেলে পানির মোটর ও ট্যাংকও নষ্ট থাকা, সুপেয় পানির সমস্যা, কর্মচারীদের অনিয়মিত উপস্থিতি ও দায়িত্বহীন আচরণ, হোস্টেলের চারপাশ অপরিষ্কার, গ্রন্থাগারে পড়ার কোনো পরিবেশ না থাকা, গ্রন্থাগারিক হিসেবে একজনকে নিয়োগ দেওয়া হলেও তার অনুপস্থিতি, গ্রন্থাগারে পর্যাপ্ত বই না থাকা, বৈদ্যুতিক পাখা ও লাইটের স্বল্পতা, শৌচাগারে পানি নিষ্কাশনের অপর্যাপ্ত ব্যবস্থা। এছাড়া ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তার অভাববোধ করেন।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এসব সমস্যা সমাধানের জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার ধরনা দিলেও তারা কোনো ধরনের উদ্যোগ নেয়নি। তাই বাধ্য হয়ে শিক্ষার্থীর গতকাল প্রথমে ছয় দফা এবং পরে আজ ২০ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন।

পঞ্চম বর্ষের একজন শিক্ষার্থী বলেন, গতকাল মঙ্গলবার থেকে কলেজের প্রায় ৩৫০ ছাত্র-ছাত্রী ক্লাস বর্জন করে এ আন্দোলন শুরু করেন। একই সঙ্গে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের একটি কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। তারপর বুধবারও একই সময় থেকে তাদের আন্দোলন চলছে। সমস্যা সমাধানে দুপুরে কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতাদের বৈঠক শুরু হয়। তবে কর্তৃপক্ষ কোন প্রতিশ্রুতি দিলে তা মেনে নেওয়া হবে না। যতক্ষণ পর্যন্ত তারা সমস্যা সমাধানে কাজ শুরু না করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। দাবি মেনে নিয়ে কাজ শুরু না করলে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া হবে।

এ বিষয়ে জানতে আব্দুল মালেক উকিল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ আবদুস সালামের মুঠোফোনে কল করলে সাংবাদিক পরচয় পেয়ে ফোন বন্ধ করে দেন। তবে এর আগে তিনি মঙ্গলবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীরা তাদের কিছু দাবি নিয়ে এসেছেন। দাবিগুলো তিনি দ্রুত বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছেন। আলোচনা করে সমস্যাগুলো সমাধান করা হবে।