ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৮ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

পুলিশ-শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় হারিয়ে যাওয়া শিশুকে ফিরে পেল পরিবার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:১৬, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২   আপডেট: ১৩:০০, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২
পুলিশ-শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় হারিয়ে যাওয়া শিশুকে ফিরে পেল পরিবার

উদ্ধারের পর শিশু ইউসুফকে তার বড় ভাইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়

নওগাঁ থেকে পথ হারিয়ে নিঁখোজ হওয়া শিশু ইউসুফ আলিকে (১১) উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় দুইজন শিক্ষার্থীর সহযোগীতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে উদ্ধারের পর শিশুটিকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে শিশুটিকে তার বড় ভাইয়ের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ।

আরো পড়ুন:

উদ্ধার হওয়া শিশু ইউসুফ আলি নওগাঁ সদর উপজেলার চুন্ডিপুর ইউনিয়নের শান্তাহার শিমুলিয়া গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিক মিয়ার ছেলে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিটি মডেল কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র মনন ও রানা রাইজিংবিডিকে বলেন, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী কালনী এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে একটি শিশু পড়ে গেছে বলে জানতে পারি। পরে আমরা অসুস্থ অবস্থায় শিশুটিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে শিশুটিকে দুইজনে খাবার খাওয়াই এবং স্টেশনে নিয়ে আসি। তখন প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক সাংবাদিক শাহাদাত স্যার, রাইজিংবিডির জেলা প্রতিনিধি মাইনুদ্দীন রুবেল ও বন্ধুসভার সহ-সভাপতি আরেফিন শুভ ভাইকে সব খুলে বলি। পরে তারা রেল স্টেশনের পুলিশ ফাঁড়িতে আমাদের নিয়ে যান। সেখানে চার ঘণ্টা চেষ্টার পর নিখোঁজ শিশুর পরিবারের খোঁজ মেলে। পরে শিশুটিকে তার বড় ভাইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়। 

শিশু ইউসুফ আলির বড় ভাই রিমন মন্ডল বলেন, ‘ ছোট ভাই কাউকে কিছু না জানিয়ে নওগাঁর আত্রাই থানায় আমার বড় বোনের শ্বশুর বাড়িতে চলে যায়। আমার বোন ভাইকে একটি সিএসজিতে তুলে বাড়িতে যাওয়ার জন্য পাঠায়। কিন্তু সে মাদার মোল্লা হাটে নেমে ভুলবশত সান্তাহার রেলস্টেশনে চলে যায়। এরপর পরিবার অনেক খোঁজাখুঁজি করলেও তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। ছোট ভাই জানে আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় চাকরি করি। হয়তো সেই অনুমান থেকে সান্তাহার থেকে ট্রেনে করে ঢাকায় আসে সে। এরপর অন্য একটি ট্রেন ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চলে আসে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া মানুষ অনেক ভালো ও আন্তরিক হওয়ায় আমার ভাইকে আদর করে রেখেছিলেন। পরে পুলিশ আমাদের ঠিকানা খুঁজে বের করেছেন। তারা আমার ছোট্ট ভাইকে পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দিয়েছেন। আমার ভাইকে উদ্ধার ও খেয়াল রাখার জন্য আমি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ, সাংবাদিক ও শিক্ষার্থীসহ সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জ সালাউদ্দিন খান নোমান রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টায় স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিক ও ছাত্র মিলে শিশুটিকে রেলওয়ের ফাঁড়িতে নিয়ে আসেন। শিশুটি তখন ভয়ে কিছু মনে করতে পারছিলো না। পরে সবাই শিশুটির সঙ্গে আদরের ভাষায় কথা বলে তার ঠিকানা জানার চেষ্টা করি। সাড়ে চার ঘণ্টার চেষ্টাই এবং নওগাঁ সদর উপজেলার চুন্ডিপুর ইউনিয়নে দায়িত্বে থাকা আমার পুলিশ বন্ধুর সহযোগীতায় স্থানীয় মেম্বারকে খুঁজে বের  করি। তারপরে ইউসুফ আলির বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করি। রাত ১টার দিকে শিশুটির ভাই আসেন।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘তথ্য যাছাই-বাছাই শেষে শিশুটিকে তার ভাইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।’

মাইনুদ্দীন/ মাসুদ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়