ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

বগুড়ায় এম‌পির সঙ্গে যুবলীগ নেতাদের হট্ট‌গোল

বগুড়া প্রতি‌নি‌ধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:৩৩, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২  
বগুড়ায় এম‌পির সঙ্গে যুবলীগ নেতাদের হট্ট‌গোল

বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাজাহানপুর) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) রেজাউল করিম বাবলু ও তার ব‌্যক্তিগত সহকা‌রী রেজার সঙ্গে যুবলীগ নেতাদের হট্ট‌গো‌ল হয়েছে। বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে সাড়ে ১০টায় শাজাহানপুর উপজেলা পরিষদে উপজেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলমগীর বাদশা ও তার লোকজ‌নের সঙ্গে হট্টগোল হয়। এ অবস্থা থামাতে গিয়ে পিস্তল বের করেন সংসদ সদস্য রেজাউল করিম।

প্রতক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ১০টার দিকে এমপি রেজাউল করিম আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় অংশ নিতে আসেন। এ সময় আলমগীর বাদশা তার কাছে গিয়ে প্রকল্পের জন্য দেওয়া টাকার প্রসঙ্গ তোলেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের উত্তেজনামূলক কথা চলছিল। এক পর্যায়ে হাতাহাতি ও ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। এ সময় বাদশাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়। তা ঠেকাতে গিয়ে শহিদুল নামে এক ব্যক্তি মাথায় আঘাত পান। হামলায় এমপির সহকারী রেজার লাঠির আঘাত লাগে।

আলমগীর বাদশা বলেন, ‘২০১৯ সালে এমপির নামে মসজিদ, রাস্তাসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের বরাদ্দ আসে। ওই সময় অনেকের কাছে থেকে বরাদ্দ দেয়ার নামে টাকা নেওয়া হয়। আমিও ৩ লাখ ৯৫ হাজার টাকা দিয়েছিলাম। কিন্তু সেই বরাদ্দ আজও দিতে পারেননি এমপি রেজাউল করিম। আমার টাকাও ফেরত পাইনি।’

উপজেলা চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন ছান্নু ব‌লেন, ‘এম‌পির সঙ্গে কিছু ঘটে‌নি। ঘটনা এম‌পির ব‌্যক্তিগত সহকা‌রী (পিএস) রেজার সঙ্গে। তা‌দের সঙ্গে তো ব‌্যক্তিগত সমস‌্যা নেই। যা নি‌য়ে ঘটনা সেটা হ‌লো, সংসদ সদস্য রেজাউল করিম বাবলুর শ্যালক ও তার পিএস রেজা বিভিন্ন প্রকল্প দেয়ার কথা বলে যুবলীগ নেতাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। দীর্ঘদিনেও সেই প্রকল্প না দিয়ে তালবাহানা করছিলেন। সকালে উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় যোগ দেয়ার জন্য সংসদ সদস্য উপজেলা পরিষদে আসেন। এ সময় তার ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) রেজাকে পেয়ে যুবলীগ নেতারা টাকা ফেরত চান। এ নিয়ে হট্টগোল শুরু হলে আমি থামানোর জন্য এগিয়ে যাই। এ সময় সংসদ সদস্য রেজাউল করিম বাবলু তার ব্যক্তিগত পিস্তল বের করে তাক করেন। খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশ ও পরিষদের লোকজন এগিয়ে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।’

সংসদ সদস্য রেজাউল করিম বাবলু বলেন, ‘আমি সংসদ সদস্য হিসেবে উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির উপদেষ্টা। আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় যোগ দেয়ার জন্য উপজেলা পরিষদে পৌঁছে সভাকক্ষে প্রবেশের আগে ইউএনও'র সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য তার কক্ষের সামনে অপেক্ষা করছিলাম। এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন ছান্নু ও উপজেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বাদশা আলমগীরের নেতৃত্বে যুবলীগের নেতাকর্মীরা হামলা করে। হামলায় আমার ব্যক্তিগত সহকারী রেজা গুরুতর আহত হয়। আমি আত্মরক্ষার্থে আমার লাইসেন্স করা ব্যক্তিগত পিস্তল বের করি।’

ত‌বে প্রকল্প দেয়ার নামে যুবলীগ নেতাদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে সংসদ সদস্য রেজাউল করিম বলেন, ‘কে, কার কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন, সেই বিষয় নিয়ে তো আমার কাছে অভিযোগ দেয়ার সুযোগ ছিল।’  
 

এনাম/বকুল 

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়