ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

স্কুলের পরিত্যক্ত ঘরে মিললো দুই ভাইয়ের লাশ 

দিনাজপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:১০, ২৫ নভেম্বর ২০২২   আপডেট: ১৫:৩৫, ২৫ নভেম্বর ২০২২
স্কুলের পরিত্যক্ত ঘরে মিললো দুই ভাইয়ের লাশ 

দিনাজপুরের বিরলে একটি স্কুলের পরিত্যক্ত ঘরের ভেতর থেকে বস্তাবন্দী অবস্থায় দুই ভাইয়ের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এদিকে নিহত শিশুদের বাবা শরিফুল ইসলাম পালাতক রয়েছেন।

শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিরল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল হাসান রেজা।

মারা যাওয়া দুই ভাই হলেন- রিমন ও ইমরান। তারা পৌরসভার শংকরপুর এলাকার শরিফুল ইসলামের ছেলে। তাদের বয়স ৫ থেকে ৬ বছরের মধ্যে।

ওসি রেজাউল হাসান জানান, সকালে বিরল উপজেলার ভাবনীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত ঘর থেকে বস্তাবন্দী অবস্থায় দুই শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মারা যাওয়া শিশুরা শংকরপুর এলাকার শরিফুল ইসলামের ছেলে। এ বিষয়ে তদন্তের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মারা যাওয়া শিশুদের দাদা রফিকুল ইসলাম বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে আমার ছেলে শরিফুল ইসলাম দুই নাতিকে সঙ্গে নিয়ে বিরল বাজারে শীতের কাপড় কিনতে যায়। গভীর রাত পর্যন্ত তারা বাড়িতে না আসায় আমরা বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজন ও নিকটস্থ জায়গায় অনেক খোঁজাখুঁজি করি। কিন্তু কোথাও তাদের সন্ধান পাইনি। আজ সকাল ১০টার দিকে বিরলের ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক স্কুলের ঘরে বস্তাবন্দি অবস্থায় নাতিদের লাশ উদ্ধার হয়েছে বলে জানতে পারি। ঘটনাস্থলে গিয়ে আমি আমার দুই নাতিকে শনাক্ত করি। 

তিনি আরও বলেন, আমার ছেলে এই দুই শিশুকে হত্যার পর নিজেও বিষ খাবে বলে হুমকি দিতো। অনেক দিন ধরেই সে পরিবারকে হুমকি দিচ্ছিল। আজ সে তাই করলো।’

বিরল পৌরসভার মেয়র সবুজার সিদ্দিক সাগর বলেন,  এক মাস আগেই শরিফুল ও তার স্ত্রী উম্মে কুলসুমের মধ্যে তালাক হয়। এই তালাকের জের ধরেই শরিফুল ইসলাম নিজ হাতে দুই শিশুকে হত্যা করেছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। ঘটনার পর থেকেই ঘাতক বাবা পলাতক রয়েছেন। আমি সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীর শাস্তির দাবি করছি।

দিনাজপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসলাম উদ্দিন বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে  শিশু দুটিকে তাদের বাবা শরিফুল ইসলাম ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি পরিত্যক্ত কক্ষে হত্যা করেছে। খাবারের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে হত্যা করো হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। পুলিশ লাশ দুটি দিনাজপুর এম আব্দুর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, পুলিশ ঘাতক বাবাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

মোসলেম/ মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়