ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

টাকা জমা ও আবেদন না করেও কলেজে ভর্তির এসএমএস, বোর্ডে অভিযোগ 

নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৫৩, ১৩ ডিসেম্বর ২০২২  
টাকা জমা ও আবেদন না করেও কলেজে ভর্তির এসএমএস, বোর্ডে অভিযোগ 

এসএসসি পাস করা কয়েকজন শিক্ষার্থী কলেজে ভর্তির কোনো আবেদন না করে এবং টাকা জমা না দিয়েও অনলাইন আবেদন সফল হয়েছে এমন এসএমএস পেয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন। প্রতিটি আবেদনে ভাওয়াল মির্জাপুর হাজী জমির উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নাম প্রথম পছন্দে রাখা হয়েছে। এই আবেদন প্রক্রিয়া অনলাইন হওয়ায় ওইসব শিক্ষার্থী তা বাতিল করতে পারছেন না কিংবা নতুন করে আর কোনো কলেজে ভর্তির আবেদন করা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন।

এদিকে বিষয়টি জানিয়ে কয়েকজন শিক্ষার্থী গত রোববার ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগ করেছেন।

ভাওয়াল মির্জাপুর হাজী জমির উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি পাস করা সাদিয়া আক্তার জানান, তিনি বা তার পরিবারের কেউ অনলাইনে কলেজে ভর্তির আবেদন কিংবা টাকা জমা দেননি। কিন্তু গত ৮ ডিসেম্বর আমার মোবাইল ফোনে এসএমএস এসেছে ভর্তির আবেদন সাকসেসফুল – ‘ইউর অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন হ্যাজ বিন সাবমিটেড সাকসেসফুলি অ্যান্ড ইউর সিকিউরিটি কোড।’ এছাড়াও আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় ১৫০ টাকা জমাও হয়ে গেছে। এই টাকাও আমি বা আমার পরিবারের কেউ জমা করিনি। 

ভাওয়াল মির্জাপুর হাজী জমির উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি পাস করা আজিম হোসেন, মাহফিল হোসেন, তানিয়া আক্তার, মুসফিকুর রহমান, নুসরাত জাহান নাবিলা, মহিন হায়দার, আজিম হোসেন, শারমিন আক্তার মিম, ফাতেমা আক্তার এবং আরও কয়েকজন একই অভিযোগ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে।

এদিকে শিক্ষার্থীরা স্থানীয় কম্পিউটার দোকানে অনলাইনে পছন্দের কলেজের নাম উল্লেখ করে আবেদন করতে গেলে আবেদন আর নেওয়া হচ্ছে না। এছাড়া আগের আবেদনটি বাতিল করতে পারছেন না বলেও অভিযোগ করেছেন। 

শিক্ষার্থীরা বিষয়টির সমাধান চেয়ে ভাওয়াল মির্জাপুর হাজী জমির উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক মো. সানোয়ার হোসেনের কাছে গেলে তিনি জানান, দুইটি বছরই তো। থাকো না এ প্রতিষ্ঠানেই। আমাদের শিক্ষার্থী তোমরা আমাদের এখানেই থাকো।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভাওয়াল মির্জাপুর হাজী জমির উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রধান শিক্ষক মো. সানোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘স্কুলের অন্য কেউ বা আমি নিজে এসএসসি উত্তীর্ণ কোনো শিক্ষার্থীকে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন করে দেইনি। যেসব শিক্ষার্থীরা আমাদের কাছে আবেদন করে দেওয়ার জন্য এসেছে শুধু তাদেরই আমরা আবেদন করতে সহযোগিতা করেছি মাত্র। তবে কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থীকে বুঝিয়ে অনুরোধ করে আমাদের কলেজে আবেদন করার জন্য বলেছি।’

গাজীপুর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রেবেকা সুলতানা বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের অজ্ঞাতে এভাবে আবেদন করার দণ্ডণীয় অপরাধ। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীদের লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি।’

রেজাউল/ মাসুদ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়