ঢাকা     রোববার   ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ৩০ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

শীতে বাড়ছে নিউমোনিয়া-ডায়রিয়া রোগী

গাইবান্ধা প্রতিনিধি  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:১১, ৩১ ডিসেম্বর ২০২২   আপডেট: ১৬:২৬, ৩১ ডিসেম্বর ২০২২
শীতে বাড়ছে নিউমোনিয়া-ডায়রিয়া রোগী

মধ্য পৌষে এসে উত্তরের জনপদ গাইবান্ধার প্রত্যন্ত অঞ্চলে শীতের তীব্রতা বেড়েই চলেছে। কনকনে শীতে যবুথবু হয়ে পড়ছে বয়স্ক ও শিশুরা। আর এই ঠান্ডার কবলে অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছেন শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ার মতো রোগে। 

গাইবান্ধা সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, শীতজনিত রোগীদের ভর্তি ও চিকিৎসাসেবা নেওয়ার চিত্র। হাসপাতালগুলোতে আসা অধিকাংশ রোগী ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত।  

আরো পড়ুন:

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গাইবান্ধার চরাঞ্চলসহ অন্যান্য এলাকায় দিনের অর্ধেক সময় সূর্যের দেখা মেলে না। চারদিকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকছে। সেই সঙ্গে উত্তরের মৃদু হিমেল হাওয়া বইছে। দিনশেষে রাত ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গেই বাড়তে থাকে কুয়াশার দাপট। যেন বৃষ্টির মতো ঝড়ছে এসব কুয়াশা। এ কারণে বেড়েই চলেছে শীতের তীব্রতা। কনকনে এই ঠান্ডায় যবুথবু হওয়া মানুষগুলো নাজেহাল হয়ে পড়ছেন। বিশেষ করে বয়স্ক ও শিশুদের নিয়ে বিপাকে রয়েছে স্বজনরা। সবচেয় বেকায়দায় ছিন্নমূল ও চরাঞ্চলের পরিবারগুলো। এসব পরিবারে ধীরে ধীরে দেখা দিচ্ছে নানা রোগের প্রকোপ। 

ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্তদের সুস্থ করে তুলতে পরিবারের সদস্যরা নিচ্ছেন পল্লী চিকিৎসকের কাছে, আবার কেউ কেউ বিভিন্ন হাসপাতাল, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ক্লিনিকে ছুটছেন। 

ফুলছড়ি উপজেলার চরের বাসিন্দা আমজাদ হোসেন বলেন, গরিব পরিবারের শ্রমজীবী মানুষ আমরা। অতি ঠান্ডায় আমার মেয়ে মনিরা খাতুন (৮) শ্বাসকষ্টে ভুগছে। মেয়েকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দিচ্ছি।’ 

সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কাপাসিয়া ইউনিয়নের কাজিয়ার চরের বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘একন এলা জারের (শীত) ঠেলায় ভুঁইওত কাম করা যাতিছে না বাহে। খুব জার নাগে। এই জারের মদ্দে হামার ছোট বাচ্চা কোনার অসুক হইছে। নিক্যাশ নিতে কষ্ট হয় ছইটার। হামার এলাকার একনা দাক্তারের কাছে ওষুদ খিলাতিছোম বাবা।’ 

গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. রাফিউল আলম বলেন, ‘সম্প্রতি শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এখনো প্রায় ৬০-৭০ জন রোগী আমাদের হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তাদের যত্নসহকারে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও শতাধিক রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।’

সুদীপ্ত/ মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়