ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

টাঙ্গাইলে শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৩৬, ৬ জানুয়ারি ২০২৩   আপডেট: ১২:৪৩, ৬ জানুয়ারি ২০২৩
টাঙ্গাইলে শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন

ছবি: রাইজিংবিডি

টাঙ্গাইলে গত কয়েক দিন ধরে তাপমাত্রা কমেছে। এতে দিন দিন আবহাওয়া পরিস্থিতি আরও অবনতি হচ্ছে। আকাশ পরিস্কার হলে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

শীতে বিপর্যস্ত হচ্ছে জনজীবন। কাঠখড় পুড়িয়ে শীত নিবাররে চেষ্টা করছেন শহর ও গ্রামাঞ্চলের সাধারণ মানুষ। এছাড়াও শীতের কারণে ঠান্ডাজনিত রোগের সংখ্যা বেড়েই চলছে।

জেলা আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, কয়েক দিন ধরে টাঙ্গাইলের তাপমাত্রা কমেছে। শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) টাঙ্গাইলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

টাঙ্গাইল পৌরসভার আকুর টাকুর পাড়া, কাগমারা, এনায়েতপুর, বাঘিল ইউনিয়নের দুরিয়াবাড়ী, ধরেরবাড়ী, টাবলাপাড়া, যুগনী, দাইন্যা ইউনিয়নের বাউসা, বাইমাইল ও পোড়াবাড়ী ইউনিয়নের খাড়জানাসহ বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি এলাকাতেই উত্তরের তীব্র ঠান্ডা বাতাস বইছে। শীতের কারণে অনেকেই ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। আবার কেউ কেউ গরম পোশাক পড়ে তাদের গন্তব্যে যাচ্ছেন। আবার অনেকেই আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা গেছে।

শহরের আকুরটাকুর পাড়া এলাকার বাসিন্দা রিকশা চালক রশিদ মিয়া জানান, কয়েক দিন ধরে যেমন বাতাস, তেমন ঠান্ডা। শীতের কারণে ঘর থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না। তাই আগুন জালিয়ে শরীরটা একটু গরম করার চেষ্টা করছি।

কাগমারা এলাকার বাসিন্দা খালেক বলেন, আমি শীত সহ্য করতে পারি না। তাই কষ্ট হওয়ায় দিনের বেলায় আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছি। শীতের কারণে তার বস্তির অনেকেই কর্মহীন হয়ে পড়েছেন।

সদুল্লাপুর গ্রামের কৃষক আবেদ আলী বলেন, কয়েক দিন পর বোরো মৌসুম শুরু হবে। তার আগে ক্ষেতে কিছু কাজ থাকে। শীতের কারণে সেই কাজটুকুও করতে পারছি না। শীতের দিনে না খেয়ে থাকা যায়। কিন্তু গরম কাপড় বা আগুন ছাড়া থাকা যায় না। রাত দিন আমরা আগুনের পাশেই বসে থাকি।

টাঙ্গাইল আবহাওয়া অধিদপ্তরের ইনচার্জ জামাল উদ্দিন বলেন, দিন দিন টাঙ্গাইলের তাপমাত্রা কমছে। আকাশ পরিস্কার হলে তাপমাত্রা আরও কমবে। এছাড়া এ অবস্থা আরও কয়েক দিন থাকবে।

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের উপ-পরিচালক খন্দকার সাদিকুর রহমান বলেন, তীব্র শীতের কারণে শিশুদের নিউমোনিয়া ও বড়দের অ্যাজমা বেড়েছে। হাসপাতালে রোগীও বাড়ছে প্রায় চারগুণ। আগামী রোববার থেকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে আলাদা ওয়ার্ড খোলা হবে।

/কাওছার/সাইফ/

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়