ঢাকা     সোমবার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৭ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

ওসিসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:২৮, ১৭ মার্চ ২০২৩   আপডেট: ১০:৪৫, ১৭ মার্চ ২০২৩
ওসিসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

যশোরের মণিরামপুরে এক নারীকে হত্যার অভিযোগে তার স্বামী, শ্বশুরসহ ৯জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। ওই মামলায় মণিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান ও এসআই আতিকুজ্জামানকেও আসামি করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) নিহতের বাবা যশোর সদর উপজেলার ভায়না গ্রামের বাসিন্দা মাহমুদুজ্জামান বাদী হয়ে যশোর আদালতে  মামলাটি করেন। 

আরো পড়ুন:

বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শম্পা বসু অভিযোগ আমলে নিয়ে আগামী ২১ মার্চ আদেশের দিন ধার্য করেছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, থানায় হত্যা মামলা দায়ের না করে আত্মহত্যা প্ররোচণা মামলা দায়ের করা হয়। হত্যার ঘটনায় সহযোগী হিসেবে ওসিসহ দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে আসামি করেছেন নিহতের বাবা মাহমুদুজ্জামান।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- নিহত নাওয়াল জামান ওরফে বরিষার স্বামী মণিরামপুর উপজেলার পাঁচাকড়ি গ্রামের আরশীল কবীর, তার বাবা আজমত হোসেন, মা আসমা বেগম, একই গ্রামের মৃত আব্দুস সামাদের ছেলে মনিরুল ইসলাম, মনিরুলের স্ত্রী শীল্পি বেগম, এনায়েত মোল্লার স্ত্রী হাসিনা বেগম ও উজ্জল আহম্মেদের স্ত্রী ইরানী ফারজানা। 

মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, নাওয়ালকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করেন কবীর। বিভিন্ন সময় নাওয়ালকে কবীরের পরিবার শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো। যা মোবাইল ফোনে পরিবারকে জানান নাওয়াল। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৩টার দিকে বাদী পরিবারকে জানানো হয় নাওয়াল গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। পরে নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা। নওয়ালের মুখ ও থুতনীতেও জখমের চিহ্ন ছিলো। কিন্তু গলায় কোনো ফাঁসের দাগ ছিলো না। এছাড়া, আশপাশের লোকজনের কাছে শুনে অনুমান করেন নাওয়ালকে মারধর করে হত্যার পরে আত্মহত্যা বলে প্রচার করছেন কবীরের পরিবার। বিষয়টি বুঝতে পেরে নাওয়ালের মা নওশাবা তানবীন মণিরামপুর থানায় হত্যার অভিযোগে দায়ের করেন। যার তদন্তের দায়িত্ব পান এসআই আতিকুজ্জামান।

বাদীর অভিযোগ সুষ্ঠু তদন্ত না করেই আসামিদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে হত্যার পর্যাপ্ত তথ্য ও প্রমাণ থাকা সত্বেও থানায় হত্যা মামলা দায়ের না করে আত্মহত্যার প্ররোচণার মামলা নেওয়া হয়।

মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, এসআই আতিকুজ্জামান আগে আসামিদের এলাকা নেহালপুরের ক্যাম্প ইনচার্জ ছিলেন। শুধু তাই নয়, বাদীর মেয়েকে যখন প্রেমের ফাঁদে ফেলে অপরহরণ করে নিয়েছিলেন কবীর সেসময়ও এসআই আতিকুজ্জামান সহযোগিতা করেছিলেন। বর্তমানে আসামিরা ময়নাতদন্তের রিপোর্টকে হত্যার পরিবর্তে আত্মহত্যায় রূপান্তরিত করার চেষ্টা করছেন বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

মণিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, মামলা হয়েছে বলে শুনেছি। 

রিটন/ মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়