নোয়াখালীতে নবনির্মিত মডেল মসজিদে বিস্ফোরণ

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় নবনির্মিত মডেল মসজিদের দ্বিতীয় তলায় বিস্ফোরণ ঘটেছে। এতে মসজিদের দ্বিতীয় তলার ওই কক্ষের দুটি দরজা, দুটি জানালা, মেঝে ও উপরের সিলিং এর কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ বিস্ফোরণ ঘটে। তবে বিস্ফোরণে হতাহত হয়নি। বিস্ফোরণের ঘটনার খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার (২২ মার্চ) সেখানে ছুটে যান জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান ও পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলামসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা। এরপর সেখানে যায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে বেগমগঞ্জ উপজেলার আলীপুর এলাকায় নির্মিত উপজেলা মডেল মসজিদের দ্বিতীয় তলায় মুয়াজ্জিন ও খাদেম থাকার কক্ষে আকস্মিক বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে কক্ষের দুটি দরজা ও দুটি জানালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জানালার গ্লাসগুলো ভেঙে চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যায়। বিস্ফোরণের সময় কক্ষে মুয়াজ্জিন ও খাদেম না থাকায় হতাহত হয়নি। 

বেগমগঞ্জ মডেল মসজিদের দায়িত্বে থাকা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ফিল্ড সুপারভাইজার আব্দুল হালিম বলেন, রাতে তিনি মুয়াজ্জিন ও খাদেমদের থাকার ওই কক্ষে কাপড়ের ব্যাগ ও দাপ্তরিক কিছু ফাইলপত্র রেখে আসেন। মসজিদের তৃতীয় তলার একটি কক্ষে অন্যান্য কর্মচারীদের নিয়ে আসবাবপত্র গোছাচ্ছিলেন তিনি। এ সময় বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান। মসজিদের আশপাশের লোকজন আগুন বলে এগিয়ে আসেন। তখন তিনিও দ্রুত বেরিয়ে দেখেন দ্বিতীয় তলায় খাদেম ও মুয়াজ্জিনদের থাকার কক্ষে আগুন জ্বলছে। তাৎক্ষণিক তিনি বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানান। 

জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো.শহিদুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে মডেল মসজিদের একটি কক্ষে বিস্ফোরণের বিষয়টি মোটামুটি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে বিস্ফোরণের উৎস সম্পর্কে নির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। ঘটনার সময় ওই কক্ষে কেউ ছিল কি-না সেই বিষয়ে তথ্য পাওয়া যায়নি। বিস্ফোরণের উৎস সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার জন্য এরই মধ্যে বিশেষজ্ঞ দলকে খবর পাঠানো হয়েছে। তারা পরীক্ষা নিরীক্ষার পর প্রতিবেদন দিলে এ বিষয়ে দ্রুত পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।