ঢাকা     সোমবার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৭ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

এক স্কুলের ১৮ শিক্ষক-কর্মচারীকে ‘শোকজ’

পাবনা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৩৯, ২৪ মার্চ ২০২৩   আপডেট: ১৫:৫৩, ২৪ মার্চ ২০২৩
এক স্কুলের ১৮ শিক্ষক-কর্মচারীকে ‘শোকজ’

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার বাঘইল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ১৮ শিক্ষক-কর্মচারীকে কারণ দর্শানো নোটিশ (শোকজ) দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম। শিক্ষার্থীদের মাসিক বেতন বাড়ানোর পর সেই টাকা থেকে শিক্ষকদের বেতন বাড়ানো হয় ২০০ টাকা। কিন্তু শিক্ষকরা বাড়ানো ওই বেতন না নেওয়ায় এই নোটিশ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এদিকে, গতকাল বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) বিকেলে ঈশ্বরদী উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তার কাছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন নোটিশ পাওয়া শিক্ষক-কর্মচারীরা।

আরো পড়ুন:

ভুক্তভোগী শিক্ষক-কর্মচারীদের অভিযোগ, বাঘইল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত ও সভাপতির অনুমতি ছাড়াই গত ২২ মার্চ প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম বিদ্যালয়ের ২০ শিক্ষক-কর্মচারীর মধ্যে ১৮ জনের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। একযোগে এতজনের বিরুদ্ধে শোকজ নোটিশ দেখে তারা হতভম্ব হয়ে পড়েন। তবে কেউ সেই নোটিশ গ্রহণ করেননি।

শিক্ষকরা জানান, সম্প্রতি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বেতন মাথাপিছু ২০ টাকা হারে বাড়ানো হয়। শিক্ষার্থীদের বেতন বাড়ালে শিক্ষকদেরও সম্মানী বাড়ানোর দাবি জানানো হয়। এ নিয়ে কিছুদিন ধরে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে শিক্ষক-কর্মচারীদের মতবিরোধ চলছিল। বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সর্বশেষ বৈঠকে শিক্ষক-কর্মচারীদের সম্মানী ২০০ টাকা হারে বাড়ানো হয়। কিন্তু জানুয়ারি মাস থেকে শিক্ষক-কর্মচারীরা তা গ্রহণ করেননি।

বাঘইল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, খাতা কলমে কয়েক মাস আগে থেকে শিক্ষকদের সম্মানী বাড়ানো হয়েছে। প্রধান শিক্ষক এমনটি দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ করেছেন। শিক্ষক-কর্মচারীদের চাপে রাখতে সহকারী প্রধান শিক্ষক ও অফিস সহকারীকে বাদ রেখে বাকিদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন। এছাড়া তিনি শিক্ষক-কর্মচারীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন।

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ঈশ্বরদী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ওয়াহেদুজ্জামান বলেন, ভুক্তভোগী  শিক্ষকদের কাছে কারণ দর্শানোর নোটিশের বিষয়টি জেনেছি। বিদ্যালয়ের সভাপতির সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, শিক্ষকদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়নি। শুধু চিঠি দিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে কেন তারা শিক্ষকদের জন্য বাড়ানো সম্মানী নেননি। তবে শিক্ষকরা সে চিঠি গ্রহণ না করে বিষয়টিকে এখন শোকজ বলে প্রচার করছেন।

পরিচালনা পরিষদের সিদ্ধান্ত ছাড়া নিজেই শিক্ষকদের এমন কারণ দর্শানোর নোটিশ দিতে পারেন কি না এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক বলেন, আমি চেয়েছিলাম পরিচালনা পরিষদের আগামী বৈঠকের আগে যেন সঠিক কারণ তুলে ধরতে পারি। এজন্য সবাইকে লিখিতভাবে কারণ দর্শাতে বলেছি। সভাপতি বা অন্য সদস্যদের না জানিয়ে নিজ উদ্যোগে লিখিত চিঠি দেওয়া যদি নিয়ম বহির্ভূত হয়, তাহলে আমার ভুল হয়েছে।

শাহীন/ মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়