ঢাকা     সোমবার   ২০ মে ২০২৪ ||  জ্যৈষ্ঠ ৬ ১৪৩১

একটি ঘর চান খাস জমিতে থাকা প্রতিবন্ধী শাকিলা

লালমনিরহাট প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৪৮, ৫ এপ্রিল ২০২৩  
একটি ঘর চান খাস জমিতে থাকা প্রতিবন্ধী শাকিলা

শাকিলা ইয়াসমিন

শারীরিক প্রতিবন্ধী শাকিলা ইয়াসমিন। দিনমজুর স্বামী ও দুই সন্তানকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সরকারি খাস জমিতে বসবাস করে আসছেন। কিছুদিন আগে টিনের তৈরি সেই ভাঙাচোরা ঘরেও আগুন লাগে। এতে ঘরের আসবাবপত্রসহ প্রয়োজনী সমস্ত জিনিসপত্র পুড়ে যায়। পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন এখন তার। 

মুজিব শতবর্ষে সরকারের দেওয়া ঘর জোটেনি প্রতিবন্ধী শাকিলার। এখন তার একটাই চাওয়া, তাকেও যেন প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর একটি উপহারের ঘর দেওয়া হয়। 

মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় কয়েক ধাপে বাস্তবায়িত হয়েছে আবাসন প্রকল্প। ৭৯৩টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর। 

শারীরিক প্রতিবন্ধী শাকিলা কালীগঞ্জ উপজেলার কাকনিা ইউনিয়নের রুদ্রেশ্বর ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দিনমজুর শফিকুল ইসলামের স্ত্রী। জীবিকার তাগিদে শফিকুল এখন ঢাকায় থাকেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খাস জমিতে একটি টিনের ঘর তুলে কোনোভাবে দুই সন্তান মাহমুদ (১২) এবং মুরছালিনকে (৮) নিয়ে
থাকছেন শাকিলা। আর্থিক অভাব-অনটনে দরিদ্রতার সঙ্গে যুদ্ধ করে টিকে রয়েছেন তারা। জীবিকার তাগিদে ঢাকায় থাকেন স্বামী শফিকুল। ঢাকা থেকে স্বামীর পাঠানো টাকায় কোনো মতে চলছে সংসার।

শাকিলা ইয়াসমিন বলেন, সরকার যদি একটা ঘর দিতো তাহলে সন্তানদের নিয়ে একটু শান্তিতে ঘুমাতে পারতাম। 

শাকিলার স্বামী শফিকুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরের জন্য উপাজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্যারের কাছে আবেদন করেছি। কিন্তু কোনো খবর পাইনি। কবে ঘর পাবো তাও জানি না।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার জহির ইমাম বলেন, শাকিলা প্রকৃত ভূমিহীন হলে যাছাই বাছাই করে তার জন্য ঘরের ব্যবস্থা করা হবে।

 

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে এ উপজেলায় প্রথম ধাপে ১৫০টি, দ্বিতীয় ধাপে ২৫০টি, তৃতীয় ধাপে ২২৫টি এবং চতুর্থ ধাপে ১৬৮টিসহ মোট ৭৯৩টি ঘর নির্মাণ করে গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারকে ঘর দেওয়া হয়েছে। যারা ঘর পেয়েছেন তারা নতুন ঘরে বসবাস শুরু করেছেন। 

ফারুক/ মাসুদ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়