ঢাকা     সোমবার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৭ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

শেরপুরে চাল আত্মসাত: ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা

শেরপুর প্রতিনিধি  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৫৬, ২৯ জুলাই ২০২৩   আপডেট: ১৯:৫৭, ২৯ জুলাই ২০২৩
শেরপুরে চাল আত্মসাত: ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা

গোসাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ জামাল ইসলাম আশিক

শেরপুরের শ্রীবরদীতে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর পরিচালিত দুস্থ মহিলা উন্নয়ন কর্মসূচির ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট (ভিডব্লিউবি) এর চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। 

সম্প্রতি মর্জিনা বেগম নামে ভিডব্লিউবি কর্মসূচির কার্ডধারী এই নারী চাল আত্মসাতের অভিযোগ তুলে গোসাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ জামাল ইসলাম আশিকসহ ৭ জনের নামে আদালতে মামলা করেছেন। মামলাটি পিবিআই তদন্ত করছে। এছাড়াও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কার্ড বিতরণে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগী অনেকে।

আরো পড়ুন:

এলাকাবাসী এবং মামলা সূত্রে জানা যায়, চলতি অর্থবছরে গোসাইপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ মাটিয়াকুড়া গ্রামের মর্জিনা বেগম ও মামলার সাক্ষীদের কাছ থেকে ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে নাম দেয়ার কথা বলে ইউপি চেয়ারম্যান আশিক আইডি কার্ড ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নেন। যাচাই-বাছাই শেষে তাদের ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এরপর গত জানুয়ারি মাসে চাল বিতরণকালে মল্লিকা বেগম, নারগিস আক্তার, শিল্পী বেগম, লাকি আক্তার ও মার্জিনা বেগম চাল নিতে গেলে চেয়ারম্যান তাদের চাল না দিয়ে ফেরত দিয়ে দেন। পরে তারা জানতে পারেন—ভিডব্লিউবি কর্মসূচির আওতায় তাদের কার্ডের বিপরীতে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গত জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল উত্তোলন করে আত্মসাৎ করে আসছেন। হিসেব করলে দেখা যায়, চেয়ারম্যান ছয় মাসে নয়শত কেজি চাল উত্তোলন করেছেন, যার বাজার মূল্য ২৭ হাজার টাকা। 

এ ব্যাপারে তারা প্রতিবাদ করতে গেলে ইউপি চেয়ারম্যান তাদের হুমকি ধামকি দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। পরে গত ২০ জুলাই ভুক্তভোগী মর্জিনা বেগম বাদী হয়ে চেয়ারম্যান শাহ জামাল ইসলাম আশিক এর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। 

এ মামলার সাক্ষী মল্লিকা, নার্গিস আক্তার ও লাকী আক্তারসহ অনেকে বলেন, চেয়ারম্যান তাদের নামে চাল উত্তোলন করে আত্মসাৎ করে আসছেন। এছাড়াও তিনি নিজের ঘনিষ্ঠ আত্বীয়স্বজনদের ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে নাম দিয়ে নিজে সরকারি চাল আত্মসাৎ করে আসছেন।

নার্গিস বেগম বলেন, ‘আমাদের নামে চালের কার্ড হয়েছে কিন্তু চেয়ারম্যান আশিক আমাদের চাল না দিয়ে নিজেই আত্মসাৎ করেছেন। আমরা গরিব, আমাদের জন্য কেউ কথা কয় না। সরকারের কাছে আমরা চেয়ারম্যানের বিচার চাই এবং চাল ফেরত চাই।’ 

মার্জিনা বেগম বলেন, ‘মামলার পর থেকে চেয়ারম্যান এবং তার ছেলে আমাকে হুমকি দিয়ে আসছে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমার নামে বরাদ্দ চাল আমি ফেরত চাই।’ 

এ সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান শাহ জামাল ইসলাম আশিক। তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা আমাকে ফাঁসানোর জন্য মিথ্যা অভিযোগ তুলে মামলা করেছে।’ 
 

তারিকুল/বকুল

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়