ঢাকা     বুধবার   ০১ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৮ ১৪৩১

সেনাবাহিনী প্রধানের নড়াইল রেল স্টেশন পরিদর্শন

নড়াইল সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:২২, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  
সেনাবাহিনী প্রধানের নড়াইল রেল স্টেশন পরিদর্শন

নড়াইলে পৌরসভার দূর্গাপুর এলাকায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে পদ্মাসেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের নির্মাণাধীন ‘নড়াইল রেল স্টেশন’ পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।

মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে প্রকল্পটি পরিদর্শনের সময় তিনি বলেন, কাজের গতিতে আমি সন্তুষ্ট, নির্ধারিত সময়ের আগেই এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। আগামী জুনে এ প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা ছিলো, আমরা আশা করছি এপ্রিলের মধ্যেই এ কাজ শেষ হবে। কাজ শেষ হলেই উদ্বোধন। সময়ের আগে যখন শেষ হচ্ছে, তাই কাজের গুণগত মান দেখতেই আমার এ পরিদর্শন এবং নড়াইলের কাজগুলি সুন্দরভাবে হোক এটাই আমি সব সময় চেয়েছি। আজকে সরেজমিনে পরিদর্শন করে আমি খুব খুশি। আমাদের (সেনাবাহিনী) উপর যে আস্থা রাখা হয়েছে সে আস্থার প্রতিদান হিসেবে আমরা সময়ের ভিতরে গুণগত মান ঠিক রেখে কাজটা সম্পন্ন করে দিতে পারবো।

পরে তিনি রেল স্টেশনের পাশে দূর্গাপুর-ডুমুরতলায় অবস্থিত ইবিসি কনস্ট্রাকশন কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে হেলিকপ্টারযোগে লোহাগড়ায় যান। লোহাগড়ায় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে মধুমতি আর্মি ক্যাম্পে দুস্থ ও অসহায়দের মাঝে কম্বল বিতরণ, লোহাগড়া করফা গ্রামে একটি মসজিদের উদ্বোধন শেষে মল্লিকপুর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থাপনা কাজের উদ্বোধন করেন।

এসময় ৫৫ পদাতিক ডিভিশন যশোর’র জিওসি মেজর জেনারেল মোহাম্মদ মাহবুবুর রশীদসহ সেনাবাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তাগণ, নড়াইল জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরী, লোহাগড়া উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ্বাস, এসময় উপস্থিত ছিলেন।

পদ্মাসেতু রেল সংযোগ প্রকল্পটি দুইটি ফেইজে বিভক্ত। প্রথম ফেইজে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় ফেইজে ভাঙ্গা থেকে নড়াইল হয়ে যশোরের সিঙ্গিয়া জংশন পর্যন্ত। ঢাকা থেকে যশোরের সিঙ্গিয়া পর্যন্ত মোট ১৬২.৫ কিলোমিটার রেল লাইন স্থাপনে ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৯ হাজার ২৪৬ দশমিক ৮০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ভাঙ্গা থেকে যশোরের সিঙ্গিয়া পর্যন্ত ৮০ কিলোমিটার রেল লাইন স্থাপনে ব্যয় হবে ১০ হাজার পাঁচশো কোটি টাকা। ইতোমধ্যে দ্বিতীয় ফেজের এ অংশের রেল পাটি বসানোর কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত রেল লাইনে থাকবে মোট ১০টি স্টেশন।

বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক নিযুক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (সিআরসি) এ রেললাইনের নির্মাণ কাজ বস্তবায়ন করছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রকল্পের পরামর্শক হিসেবে নিয়োজিত রয়েছে।

শরিফুল/ফয়সাল

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়