পূর্ব শত্রুতার জেরে পাভেলকে হত্যা: পুলিশ

পূর্ব শত্রুতার জেরেই শরিফুল ইসলাম পাভেলকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত তিন জনকে গ্রেপ্তারের পর একথা জানিয়েছেন গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মো. ইবনে মিজান। বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুরে গাইবান্ধা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এই বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল।

গতকাল মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলার বল্লমঝাড় ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের পরিত্যাক্ত বাড়ির ট্যাংক থেকে পাভেলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি গত ৯ মার্চ থেকে নিখোঁজ ছিলেন।  

আরও পড়ুন: আ.লীগ নেতার ছেলের লাশ মিললো সেপটিক ট্যাঙ্কে

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- গাইবান্ধা সদর উপজেলার রঘুনাথপুর এলাকার মৃত মন্টু মিয়ার ছেলে হাবিবুর রহমান হাবি (৪৪), জবিউল ইসলামের ছেলে সুজন মিয়া (৩৬) ও শাহ আলমের স্ত্রী অমেলা বেগম (৪২)। নিহত পাভেল বল্লমঝাড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুস সামাদ আকন্দের ছোট ছেলে।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইবনে মিজান বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে গাইবান্ধা সদর থানার পলাতক আসামি শাহিন মিয়া গত শনিবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যায় ফোন করে শফিকুর রহমান পাভেলকে তার বাড়িতে ডেকে নেন। সেখানে আগে থেকে হত্যার পরিকল্পনাকারীরা দেশি অস্ত্র নিয়ে প্রস্তুত ছিল। আসামিরা সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পাভেলের মাথা, পা এবং গোড়ালি কুপিয়ে হত্যা নিশ্চিত করে। তারা একই এলাকার সিরাজুল ইসলামের পরিত্যক্ত বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কের ভেতর পাভেলের লাশ লুকিয়ে রাখে। গতকাল মঙ্গলবার সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে পাভেলের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে সদর থানা পুলিশ। 

ওই ঘটনায় এক নারীসহ তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেসময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ধারালো দা উদ্ধার হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। হত্যাকাণ্ডের ইন্ধনদাতাদের নাম ঠিকানাও বলেছেন। আজ বুধবার ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহতের ভাই রাসেল বাদী হয়ে গাইবান্ধা সদর থানায় হত্যা মামলা করেছেন।

অন্যদের মধ্যে সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) মো. ইব্রাহিম হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাসুদ রানা, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সেরাজুল হক, পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মো. তারিকুল ইসলামসহ বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।