ঢাকা     মঙ্গলবার   ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৭ ১৪৩১

রায় জালিয়াতি করে পদোন্নতি, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গ্রেপ্তার

মাদারীপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৫১, ১৭ এপ্রিল ২০২৪   আপডেট: ১৬:৫৩, ১৭ এপ্রিল ২০২৪
রায় জালিয়াতি করে পদোন্নতি, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গ্রেপ্তার

মুন্সী রুহুল আসলাম।

হাইকোর্টের রায় জালিয়াতি করে পদোন্নতি নেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুন্সী রুহুল আসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) মধ্যরাতে শাহবাগ থানা পুলিশ শিবচর থানা পুলিশের সহায়তায় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুন্সী রুহুল আসলামকে গ্রেপ্তার করে ঢাকায় নিয়ে আসে।

এ মামলার বাদী হাইকোর্টের কোর্ট কিপার ইউনুস খান। পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, শিবচর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুন্সী রুহুল আসলাম সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পদে কর্মরত অবস্থায় উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা পদে পদোন্নতির জন্য কোটা সংরক্ষণের দাবিতে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন।

বিগত ২০১৬ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি এ মামলার কিছু পর্যবেক্ষণসহ রুলটি ডিসচার্জ হয়। যা সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটেও রয়েছে। মুন্সী রুহুল আসলাম অজ্ঞাত আসামিদের সহযোগিতায় জাল রায় প্রস্তুত করে বিচারপতিদের স্বাক্ষর জাল করে নিজেই স্বাক্ষর দেন।
তিনি রিট শাখাসহ আরডি শাখার কর্মরত অজ্ঞাত আসামিদের (কর্মচারীদের) সহযোগিতায় মামলার রেকর্ড থেকে মূল রায় সরিয়ে জাল রায় ঢুকিয়ে রাখেন। সংশ্লিষ্ট রিট শাখার অনুলিপি বিভাগ থেকে জাল রায়ের নকল সংগ্রহ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে অন্যায় সুবিধা নিয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা পদে পদোন্নতি লাভ করেন।

ফেনীর পিটিআই’র ইনসপেক্টর (বিজ্ঞান) মো. জাকির হোসেন আগেই রেকর্ড থেকে মূল রায়ের একটি সার্টিফাইড কপি সংগ্রহ করে রেখেছিলেন। মো. জাকির হোসেন ২০২২ সালের ২১ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল বরাবর মূল রায়ের সার্টিফাইড কপির ফটোকপিসহ এ সংক্রান্ত একটি জালিয়াতির অভিযোগ করেন। বিষয়টি প্রধান বিচারপতির নজরে আনা হয়।

প্রধান বিচারপতি এ ঘটনায় বিচারপতি নাইমা হায়দার, বিচারপতি জাকির হোসেন ও বিচারপতি জিনাত হকের সমন্বয়ে একটি বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন করেন। এ বেঞ্চ ২০২২ সালের ২৪ আগষ্ট পূর্ণাঙ্গ রায় প্রদান করে মামলার রুল ডিসচার্জ করেন। সেইসঙ্গে হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রারকে অনুসন্ধান করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ও চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়েরের নির্দেশ দেন।

এর ফলে শিবচর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুন্সী রুহুল আসলাম পেনাল কোডের ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮ ও ৪৭১ ধারায় ফৌজদারী অপরাধ করেছেন বলে মামলায় উল্লেখ রয়েছে।

গত ১৫ এপ্রিল বাদী হয়ে হাইকোর্টের কোর্ট কিপার ইউনুস খান ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। আদালত ঢাকার শাহবাগ থানায় মামলা নথিভুক্তির আদেশ দেন।

শিবচর থানার ওসি সুব্রত গোলদার বলেন, শাহবাগ থানা পুলিশ শিবচর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুন্সী রুহুল আসলামকে মঙ্গলবার মধ্যরাতে গ্রেপ্তার করে ঢাকায় নিয়ে গেছে।

বেলাল/ফয়সাল

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ