পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলেছে রেকর্ড ৭ কোটি ৭৮ লাখ টাকা
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
![পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলেছে রেকর্ড ৭ কোটি ৭৮ লাখ টাকা পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলেছে রেকর্ড ৭ কোটি ৭৮ লাখ টাকা](https://cdn.risingbd.com/media/imgAll/2024April/taka-2404210251.jpg)
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার পাওয়া গেছে ৭ কোটি ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭ টাকা। এর আগে, এত টাকা আর পাওয়া যায়নি।
শনিবার (২০ এপ্রিল) দিবাগত রাত ২টার দিকে জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, টাকাগুলো রাতেই পুলিশি নিরাপত্তায় রূপালী ব্যাংক কিশোরগঞ্জ শাখায় পাঠানো হয়েছে।
এর আগে, ২২০ জনের একটি দল দীর্ঘ ১৮ ঘণ্টা এ টাকা গণনার কাজে অংশগ্রহণ করেন। দানবাক্সে দেশি নগদ টাকা ছাড়াও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বিদেশি মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গেছে।
৪ মাস ১০ দিন পর শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে খোলা হয় পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্স। এর আগে, ২০২৩ সালের ৯ ডিসেম্বর খোলা হয়েছিল পাগলা মসজিদের দানবাক্স। তখন রেকর্ড ৬ কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা পাওয়া গিয়েছিল।
স্থানীয়রা জানান, মুসলমানসহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকজন এ মসজিদে দান করে থাকেন। এখানে দান করলে মনোবাসনা পূরণ হয়, এমন বিশ্বাস থেকে তারা ছুটে আসেন। আর দান করেন মোটা অঙ্কের টাকা।
মসজিদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ব্যাংকে গচ্ছিত টাকার লভ্যাংশ থেকে গরীব, অসহায় লোকদের সহযোগিতা করা হয়ে থাকে। এছাড়া, ক্যানসারসহ জটিল রোগে আক্রান্তদের আর্থিকভাবে অনুদান দিয়ে মসজিদটি আর্তমানবতার সেবায় ভূমিকা রাখছে।
পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, দানের টাকায় মসজিদের বড়সড় উন্নয়ন কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। মসজিদ ঘিরে এখানে আন্তর্জাতিক মানের একটি দৃষ্টিনন্দন বহুতল ইসলামি কমপ্লেক্স নির্মিত হবে। যেখানে ৩০ হাজার মানুষ একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন। থাকবে সমৃদ্ধ লাইব্রেরিসহ আরও নানা আয়োজন। কমপ্লেক্সের প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা। দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শুরু হবে।
রুমন/কেআই
আরো পড়ুন