ঢাকা     শনিবার   ২৭ জুলাই ২০২৪ ||  শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

সেবা না পেয়ে ডিসি অফিসের হেল্প ডেস্ক ভাঙচুর

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৪৬, ১৩ মে ২০২৪   আপডেট: ১৮:৪৬, ১৩ মে ২০২৪
সেবা না পেয়ে ডিসি অফিসের হেল্প ডেস্ক ভাঙচুর

সুশান্ত কুমার দাস

বছরের পর বছর ঘুরেও সহযোগিতা না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের হেল্প ডেস্ক ভাঙচুর করেছেন সুশান্ত কুমার দাস (৬৫)। 

সোমবার (১৩ মে) সকালে এ ঘটনা ঘটে। তবে ঘটনার পর হেল্প ডেস্কের দায়িত্বরত কেউ এ প্রসঙ্গে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। অভিযুক্ত সুশান্ত সদর উপজেলার হরিহরপুর গ্রামের মৃত প্রবীর চন্দ্র দাসের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সুশান্ত কুমার দাস হঠাৎ ব্যাগ থেকে লোহার রড বের করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের হেল্প ডেস্ক শাখার গ্লাস ভাঙচুর করতে থাকেন। এ সময় তিনি হেল্প ডেস্ক থেকে সহযোগিতা না পাওয়া, তার কথা না শোনা, উত্তর না দেয়া, বছরের পর বছর ঘুরতে হচ্ছে, তারপরও কোনো সমাধান পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেন। তিনি ক্ষুব্ধ কণ্ঠে ‘এমন হেল্প ডেস্ক থাকার চেয়ে না থাকা ভালো। আমি রাখব না এই হেল্প ডেস্ক’ বলে গ্লাস ভাঙচুর করেন। পরে পুলিশ এসে তাকে আটক করে নিয়ে যায়।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে সুশান্ত দাসের পরিবারের স্বজনরা জানান, ২০১৩ সালে থেকে সুশান্ত জমি সংক্রান্ত বিষয়ে সহযোগিতা চেয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নিচ তলায় হেল্প ডেস্ক শাখায় সহযোগিতা চেয়ে আসছিলেন। কিন্তু আজ-কাল বলে সময় ক্ষেপণ করেন ডেস্কের দায়িত্বরতরা। তিনি ১১ বছর হেল্প ডেস্কের বারান্দায় ঘোরাঘুরি করছেন। রাগে ক্ষোভে তিনি এমন করেছেন বলে পরিবারের লোকেরা জানান। 

সুশান্ত কুমার দাস কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন বলেও পরিবারের লোকেরা দাবি করেন। 

এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তেই সেটি ভাইরাল হয়। নেটিজেনরা সেখানে বিভিন্ন নেতিবাচক মন্তব্য করেন। 

এ প্রসঙ্গে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম ফিরোজ ওয়াহিদ বলেন, আটক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনার বিস্তারিত পরে বলব। 

ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন, এটি অত্যন্ত খারাপ কাজ হয়েছে। অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। তবে কেন তিনি এভাবে ভাঙচুর করেছেন এখনই বলা যাবে না। তদন্ত করে পরে জানানো হবে।

এর আগে গত বছর ৮ জুলাই নাসির উদ্দীন (২৫) নামে এক যুবক জেলা প্রশাসকের প্রবেশদ্বারের কেঁচিগেটের তালা ভেঙে বেলচা দিয়ে ডিসির কক্ষসহ অফিসের ১০টি কক্ষের ৩১টি দরজা-জানালা ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন। এ সময় তাকে নিবৃত্ত করতে গিয়ে গুরুতর আহত হন পুলিশের এক কর্মকর্তা।

হিমেল/ফয়সাল

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়