ঢাকা     শুক্রবার   ১১ অক্টোবর ২০২৪ ||  আশ্বিন ২৬ ১৪৩১

ঘূর্ণিঝড় রেমাল

মহাবিপদ সংকেতেও আশ্রয়কেন্দ্রে যাচ্ছেন না উপকূলবাসী

বাগেরহাট প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:২৫, ২৬ মে ২০২৪   আপডেট: ১৪:৩৬, ২৬ মে ২০২৪
মহাবিপদ সংকেতেও আশ্রয়কেন্দ্রে যাচ্ছেন না উপকূলবাসী

উপকূলের কাছাকাছি চলে এসেছে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গুমোট হতে শুরু করেছে বাগেরহাটের আবহাওয়া। রোববার (২৬ মে) সকাল থেকেই কালো মেঘে ছেয়ে রয়েছে এখানকার আকাশ। ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি রেখেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এই সংকেত পেয়েও আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে যাচ্ছেন না উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দারা। 

আজ দুপুর ১টায় শরণখোলা উপজেলার বলেশ্বর নদীর রায়েন্দা বেড়িবাঁধ এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মাইকিং করে উপকূলবাসীকে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছেন স্বেচ্ছাসেবকরা। দুপুর গড়ালেও বাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার আগ্রহ দেখা যায়নি বাসিন্দাদের।

বলেশ্বর নদীর রায়েন্দা বেড়িবাঁধ এলাকার বাসিন্দা সেতারা বেগম বলেন, ‘ঝড়ের বিপদ সংকেত মাঝেমধ্যেই আসে। তাই এখন আর তেমন ভয় লাগে না। সবকিছু গুছিয়ে রেখেছি। যদি ঝড় আসে তখন আশ্রয়কেন্দ্রে যাব।’ 

আরো পড়ুন:

জাহানারা বেগম নামের অপর একজন বলেন, ‘১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের জন্য এখানে মাইকিং করে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বলেছে। শুনেছি ঘূর্ণিঝড়টি রাতে আসবে। তাই এখনো আশ্রয়কেন্দ্রে যাইনি। বিকেলের দিক যদি ঝড় বেশি দেখি তাহলে আশ্রয়কেন্দ্রে যাব।’

রায়েন্দা ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য জালাল উদ্দিন রুমি বলেন, ‘সংকেত পাওয়া মাত্র এলাকায় মাইকিং করে সবাইকে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি সম্ভবত সন্ধ্যার দিকে আঘাত হানবে, এজন্য এলাকাবাসী একটু দেরি করে আশ্রয় কেন্দ্রে যাবেন। ঝড় শুরু হলে ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় আমরা স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে অবস্থান করবো।’

শরণখোলার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন শান্ত বলেন, ‘যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে আমাদের উপজেলাটি সবথেকে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকে। প্রায় প্রতিটা ঘূর্ণিঝড়েই এখানকার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হন। ঘূর্ণিঝড় রেমালে যাতে ক্ষয়ক্ষতি কম হয় সে জন্য আমরা প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিয়েছি। উপজেলায় মোট ৯০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সবাই যাতে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে আসেন সেজন্য মাইকিং করা হচ্ছে। শুকনো খাবার, ওষুধ ও খাবার পানি মজুত আছে। আশা করছি, বিকালের মধ্যে সবাইকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনতে পাররো।’

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহা. খালিদ হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় জেলায় মোট ৩৫৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি সন্ধ্যা নাগাদ বাগেরহাট উপকূলে আঘাত হানতে পারে। সবাই যেন আশ্রয়কেন্দ্রে যান সেজন্য মাইকিং করা হচ্ছে।

শহিদুল/মাসুদ


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়