ঢাকা     রোববার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৬ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

উচ্ছেদ অভিযানের ৩ দিনের মাথায় ফের অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ 

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৫১, ১ জুলাই ২০২৪   আপডেট: ১৪:৫৩, ১ জুলাই ২০২৪
উচ্ছেদ অভিযানের ৩ দিনের মাথায় ফের অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ 

মুসীগঞ্জ শহর লাগোয়া লঞ্চঘাট এলাকায় ধলেশ্বরী নদীর পাড়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের তিন দিনের মাথায় আবারও অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ চলছে। দীর্ঘ কয়েক বছর প্রায় ১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের নদীর পাড়টি বেদখল করে‌ রেখেছিলো স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালীরা। 

তিন দিন আগে ওই এলাকাসহ বিআইডব্লিউটিএ নদীর সীমানা নির্ধারণ করে প্রায় শতাধিক অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দেয়। এতে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ স্থায়ী আবাসনও ভাঙা পরে। তবে হাট লক্ষ্মীগঞ্জ ধলেশ্বরীর পাড়ে আবারও দখল করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তৈরী করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

সরেজমিন সোমবার (০১ জুলাই) সকালে শহরের হাট লক্ষ্মীগঞ্জ এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ধলেশ্বরী নদীর পাড় ঘেঁসে পুনরায় তৈরী করা হচ্ছে একটি জ্বালানি তেলের দোকান। ভাঙনের পূর্বে এই দোকানটি টিন-কাঠের থাকলেও এখন তা তৈরী করা হচ্ছে ইট-সিমেন্টের প্রাচীর দিয়ে। তবে দোকান মালিকপক্ষ বলছেন, তারা জায়গাটি লিজ নিয়েছে  বিআইডব্লিউটির কাছ থেকে।  

ধলেশ্বরী নদীর পাড়ে ঘুরতে আসা একাধিক দর্শনার্থীরা জানান, নদীর পারের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে আমরা খুবই খুশি হয়েছি। শুনেছি নদীর পাড় দিয়ে হাঁটার রাস্তা হবে। গাছ লাগানো হবে। ভেবেছিলাম পরিবেশটা পার্কের মতো হবে। এর আগে এখানে মানুষের বসার মত কিছু ব্রেঞ্চ বানানো হয়েছে। উচ্ছেদের অংশে আরও কিছু বেঞ্চ বানিয়ে দিলে মানুষ এখানে এসে স্বস্তিতে নিশ্বাস নিতে পারতো। তবে হতাশ হয়েছি আবার দখল হওয়া দেখে।

ধলেশ্বরী নদীরপাড়ে ঘুরতে আসা নাফিজ হোসাইন বলেন, মুন্সীগঞ্জ জেলা শহরের একটু বসার জন্য কোনো স্থান নেই। আমরা একটু বসার জন্য নদীর পাড়ে আসি। এখানে দোকান-পাট নির্মাণ করায় হাঁটার জায়গাই থাকে না। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে সেখানে বসার জায়গা নির্মাণ ও গাছ লাগিয়ে পার্ক এর মতো করা হোক। যাতে শহরবাসী অবসরে এখানে বসতে পারে। 

মুন্সীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট শহীদ-ই-হাসান তুহীন বলেন, দুই-তিন দিন না হতেই আবার ধলেশ্বরীর পার দখল করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে। এটা আসলেই দুঃখজনক। আজ এই দোকানটা তৈরী হলে, পর্যায়ক্রমে অন্যান্য দোকানগুলোও তৈরী হয়ে যাবে। এর‌ মানে আবারও সেই দখল। উচ্ছেদ হওয়া স্থানে একটি পার্ক তৈরি করা হলে এ শহরের মানুষ একটু স্বস্তি নিতে পারতো।

জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠানটির মালিক মো. শাহাজালাল মিয়ার শ্যালক মো. আফসু বলেন, আমার দুলাভাই অন্ততপক্ষে ১০ বছর আগে এই জায়গা বিআইডব্লিউটিএর কাছ থেকে লিজ নিয়েছে। কয়েকদিন আগে উচ্ছেদ অভিযানে অন্যান্য দোকান ভাঙার সময় এই তেলের দোকানটি ভেঙে যায়। তাই আবার নতুন করে দোকানটি নির্মাণ করা হচ্ছে।

বিআইডব্লিউটিএর নারায়ণগঞ্জ উপ-পরিচালক মো. মোবারক হোসেন মজুমদার বলেন, আমরা তাদের কাগজ পত্র নিয়ে যোগাযোগ করতে বলেছি। তাদের কি আছে, কতটুকু আছে এবং নতুন করে লাইসেন্স দেওয়া যায় কি না তা বিবেচনা করা হবে। কিন্তু ওনারা আমাদের নির্দেশনা না মেনে কাজ করলে তা অবৈধ। দরকার হলে আমরা আবার এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করবো।

রতন/ইমন

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়