ঢাকা     রোববার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৭ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

টাঙ্গাইলে যমুনা, ঝিনাই ও ধলেশ্বরীর পানি বিপৎসীমার উপরে

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৫৩, ১৩ জুলাই ২০২৪  
টাঙ্গাইলে যমুনা, ঝিনাই ও ধলেশ্বরীর পানি বিপৎসীমার উপরে

টাঙ্গাইলে নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করলেও যমুনা, ঝিনাই ও ধলেশ্বরী নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 

এতে ৬ উপজেলার ১২৩ গ্রামের ৫২ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। শুকনা খাবারের সংকট দেখা দিয়েছে। জেলার অন্তত ৫০ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। ৬ হাজার হেক্টর ফসলি জমি নিমজ্জিত হয়েছে, এছাড়াও পুকুর তলিয়ে দেড় হাজার পুকুরের মাছ বের হয়েছে। বন্যার্তরা সহযোগিতা কামনা করেছেন। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, টাঙ্গাইলে যমুনা নদীর পানি ১৩ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে, ঝিনাই নদীর পানি ১৩ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৭৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে ও ধলেশ্বরী নদীর পানি ১ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে টাঙ্গাইল সদর, গোপালপুর, ভূঞাপুর, কালিহাতী, নাগরপুর ও বাসাইল উপজেলার ১২৩ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে বানবাসীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

টাঙ্গাইল সদরের বাঘিল ইউনিয়নের ফৈলারঘোনা, গালা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন। নৌকা ও কলা গাছের ভেলা ছাড়া কেউ বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না। কাজ না থাকায় অনেকেই কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। তলিয়ে গেছে ধান, পাট, তিল ও সবজি ক্ষেত। আবার অনেকের পুকুরের মাছ বের হয়ে গেছে। এছাড়াও অনেকেই গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন।

ফৈলারঘোনা গ্রামের আফজাল হোসেন বলেন, বাড়ির চারিদিকে পানি। নিজের মোটরসাইকেল অন্যজনের বাড়িতে রেখে যাতায়াত করতে হয়। সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের গ্রাম কোন সহযোগিতা পায়নি। নিম্ন আয়ের মানুষ যারা রয়েছেন, অনেককেই অনাহারে-অর্ধহারে দিন পার করতে হচ্ছে।

এ গ্রামের লোকমান হোসেন বলেন, কেউ নৌকা ছাড়া বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না। অনেকের ধান, পাট, তিল বীজতলা তলিয়ে ক্ষতি হয়েছে। অনেকের মতো ত্রাণ সহযোগিতা না পাওয়ার অভিযোগ করেন তিনি।

গালা গ্রামের কৃষক ফজলুল হক বলেন, চলতি মৌসুমে আমি দুই বিঘা জমিতে ধুুন্দল করেছিলাম। ফলন ভাল হওয়ায় একদিন পরপর চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা করে বিক্রি করতে পারতাম। এ বছর বন্যায় সব নষ্ট হয়েছে। এছাড়াও সোয়া এক বিঘা জমির পুই শাক নষ্ট হয়েছে।

জেলা প্রশাসক বলেন, প্রতিটি উপজেলায় জিআরের ২০ মেট্রিক টন করে চাল দেওয়া হয়েছে। দুই হাজার করে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও নগদ অর্থ ও নৌকা দেওয়া হয়েছে। পর্যাপ্ত ত্রাণ আছে প্রয়োজন হলেই দেওয়া হবে।

কাওছার/টিপু

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়