ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১২ জুন ২০২৫ ||  জ্যৈষ্ঠ ২৯ ১৪৩২

বগুড়ার ১২ থানায় সীমিত পরিসরে কার্যক্রম শুরু

বগুড়া প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৪৫, ১০ আগস্ট ২০২৪  
বগুড়ার ১২ থানায় সীমিত পরিসরে কার্যক্রম শুরু

বগুড়া জেলা পুলিশের সকল থানার দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে এখন থানার বাইরে পুলিশ টহল শুরু করতে পারেনি। এছাড়াও ট্রাফিক এবং পুলিশ ফাঁড়ির কার্যক্রম শুরু করা যায়নি। সব থানায় নিরাপত্তা জোরদার করতে সেখানে সেনা সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন। 

শনিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে বগুড়ার পুলিশ সুপার জাকির হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত ৫ আগস্ট শিক্ষার্থী ও জনতার আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকার পদত্যাগ করার পর সহিংসতার মধ্যে জেলার সব থানার পুলিশি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। কোনো কোনো থানার পুলিশ সদস্যরা নিরাপত্তার অভাবে পুলিশ লাইলসে অবস্থান করেন। আন্দোলন চলাকালে বগুড়ার তিনটি থানায় হামলা হয়। এরমধ্যে বগুড়া সদর থানায় ৫ আগস্ট বিকেলে হামলা করে অস্ত্র গোলাবারুদসহ মালামাল লুট করে অগ্নিসংযোগ করা হয়। থানায় হামলাকালে কোনো প্রাণহানি না হলেও হামলাকারীরা থানার দরজা জানালা পর্যন্ত খুলে নিয়ে যায়। একইসময়ে থানা চত্বরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আগুন দেওয়া হয়। 

আরো পড়ুন:

বগুড়ার শেরপুর ও দুপচাঁচিয়া থানাতে হামলা করে ভাংচুর করা হয়।

জেলা পুলিশ সুত্রে জানা যায়, শুক্রবার (৯ আগস্ট) বিকেল থেকে ১২টি থানার দাপ্তরিক কাজ শুরু করা হয়েছে। সদর থানায় বসার মতো অবস্থা না থাকায় জেলা গোয়েন্দা কার্যালয় থেকে থানার কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। প্রতিটি থানায় পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতির পাশাপাশি আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সেনা সদস্যরাও পুলিশকে সহযোগিতা করছে। 

আজ শনিবার সকালে ক্ষতিগ্রস্ত বগুড়া সদর থানা পরিদর্শন করেন সেনাবাহিনীর বগুড়া ক্যান্টনমেন্টে'র জিওসি, মেজর জেনারেল মো. খালেদ আল- মামুন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম, পুলিশ সুপার জাকির হাসানসহ র‌্যাব ও ‍আনসার বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। 

বগুড়ার পুলিশ সুপার জাকির হাসান বলেন, বগুড়া জেলা পুলিশে শতভাগ উপস্থিতিতি রয়েছে। বগুড়ার ১২টি থানাতেই জিডি ও মামলা নেওয়া হচ্ছে। নিয়মিত টহল কার্যক্রম শীঘ্রই শুরু করা হবে। পাশাপাশি পরিস্থিতি বুঝে শহরের পুলিশ ফাঁড়ি ও ট্রাফিক পুলিশের কার্যক্রম শুরু করা হবে। 

তিনি বলেন, সদর থানা পুরোপুরি পুড়ে যাওয়ায় সেখানে বসার মতো পরিবেশ নেই৷ তাই সদর থানার কার্যক্রম ডিবি কার্যালয়ে চলছে।
 

এনাম/বকুল 

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়