ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ১ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

চাঁদপুরে বন্যায় ডুবেছে খামারীদের স্বপ্ন

চাঁদপুর প্রতিনিধি  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৩৭, ৩১ আগস্ট ২০২৪   আপডেট: ১১:৩৭, ৩১ আগস্ট ২০২৪
চাঁদপুরে বন্যায় ডুবেছে খামারীদের স্বপ্ন

অবিরাম বর্ষণ ও পার্শ্ববর্তী জেলার বন্যার পানি নামায় সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় চাঁদপুরের প্রাণিসম্পদ খাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ডুবে গেছে শত শত মাছের ঘের। স্রোতে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে হাঁস-মুরগি ও গবাদি পশু। বিশেষ করে ফরিদগঞ্জ ও শাহরাস্তি উপজেলায় গবাদি পশু ও হাঁস মুরগীর খামারীদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে শেষ হয়ে গেছে বন্যাকবলিত এলাকায় প্রান্তিক কৃষকের স্বপ্ন।

শনিবার (৩১ আগস্ট) সকালে ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এসব ক্ষয়ক্ষতি চিত্র দেখা গেছে। এ সময় এসব ক্ষতি পুষিয়ে নিতে দ্রুতই প্রশাসন কর্তৃক প্রণোদনার দাবি জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। 

চাঁদপুর সদরের চান্দ্রার মুরগীর খামারী মাসুদ পাটোয়ারী বলেন, আমরা সদরের নিম্নাঞ্চলে হওয়ায় আমাদের সব স্বপ্ন পানির নীচে তলিয়ে গেছে। আমার ২টি মুরগীর খামারই পানির নীচে। যতটুকু পেরেছি অন্যত্র সরিয়ে নিলেও পুরোপুরি সব সড়াতে পারিনি। 

চাঁদপুর জেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ের তথ্য মতে, এবারের টানা বৃষ্টিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে শাহরাস্তির ১১টি ও ফরিদগঞ্জের ১৬টি ইউনিয়নের খামারীদের। তাদের মোট ১৫ একর চারণ ভূমি প্লাবিত হয়েছে। এছাড়াও এখন পর্যন্ত ফরিদগঞ্জে ২টি গরু, ২৫টি ছাগল, ১০টি হাঁস ও ১০ হাজার ২৬৯টি মুরগী মারা গেছে। শাহরাস্তিতেও সাড়ে ৫শ হাঁস মারা গেছে। এসব এলাকায় অনেক গবাদি পশু এবং হাঁস মুরগী জলাবদ্ধতার কবলে পড়েছে। সব মিলিয়ে এই সেক্টরে মোট ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৭০ লাখ টাকার। 

এসব তথ্য নিশ্চিত করে চাঁদপুর জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. জ্যোতির্ময় ভৌমিক বলেন, আমাদের জেলায় ফরিদগঞ্জ ও শাহরাস্তিতে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অন্যান্য উপজেলায় সে তুলনায় কম হওয়ায় আমরা সেগুলো যাচাই বাছাই করছি। যাদের ক্ষতি হয়েছে তাদের তথ্য সংগ্রহ করে মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। বরাদ্দ পেলে আমরা হয়তো তাদের জন্য কিছু করতে পারবো। তবে পশু ও হাঁস মুরগীর ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত রোগের চিকিৎসা ও ওষুধ আমরা বিনামূল্যে বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি।

অমরেশ/ইমন

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়