ঢাকা     শনিবার   ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৬ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

জামায়াত ইসলাম নিয়ে নারীদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়: শফিকুর রহমান

ফরিদপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৪৮, ১ ডিসেম্বর ২০২৪   আপডেট: ২০:৪৮, ১ ডিসেম্বর ২০২৪
জামায়াত ইসলাম নিয়ে নারীদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়: শফিকুর রহমান

ফরিদপুরের সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে কর্মী সম্মেলনে বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামের আমির ডা. শফিকুর রহমান

নারীরা ঘর থেকে বের হতে পারবে না, নারীদের জোর করে কালো বোরকা পরানো হবে— এমন সব কথা ছড়িয়ে জামায়াতকে নিয়ে নারীদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানো হয় বলে দাবি করেছেন জামায়াতে ইসলামের আমির ডা. শফিকুর রহমান। 

তিনি প্রশ্ন রাখেন, আমরা কে নারীকে ঘরে তালা মেরে রাখার? এ সময় তিনি বলেন, “জোর করে বোরকা পরানোর আমরা কেউ নই।”

রবিবার (১ ডিসেম্বর) বিকেলে ফরিদপুরের সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে জেলা জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ দাবি করেন।  

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “যারা অন্য ধর্মের, তাদের ওপরে জোর করে কোনো কিছু চাপিয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই। যারা মর্যাদার প্রতীক হিসেবে বোরকা পরেন, তারা পরবেন। অন্যদের পোশাকের জন্য তিরস্কার করা হবে না।” 

তিনি বলেন, “যুদ্ধের ময়দানে হযরত মুহাম্মদ (সা.) নারীদের নিয়ে গেছেন। সেখানে তারা তাদের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন। সেখানে আমরা কেন নারীদের আটকে রাখব? নারীরা তাদের মর্যাদা নিয়ে কর্মস্থলে তাদের যোগ্যতা দিয়ে অবদান রাখবেন।” 

পতিতি আওয়ামী লীগ সরকাকে উদ্দেশ্য করে জামায়াত আমির বলেন, “বিচারিক আদালতের মাধ্যমে ফরিদপুরে সন্তান জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুজাহিদ ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লাকে খুন করা হয়েছে। তাদের ওপর জুলুম করা হয়েছে। মানবতাকে হত্যা করা হয়েছে। আদালতকে তারা রাজনৈতিক কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করেছে। এই খুনিদের বিচার হবে। এই খুনিদের আমরা ফাঁসি দাবি করি।”

তিনি আরো বলেন, “যারা বলতো ‘আমরা পালাই না’, তারা এখন কোথায়? তারা যদি দেশকে ভালোবাসত, দেশপ্রেমিক হত, তাহলে যত দুঃসময়ই আসতো না কেন, দেশ ছেড়ে পালাত না। তারা দেশকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়েছে। উন্নয়নের নামে ৫ লাখ টাকার বাজেট করে ১ লাখ টাকার কাজ করেছেন। বাকি ৪ লাখ টাকা বিদেশে পাচার করেছেন।” 

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানবিক সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। যাতে কোনো মন্দির-মসজিদ পাহারা দিতে না হয়। এমন শিক্ষাব্যবস্থা করতে হবে, যাতে চাকরির জন্য কাউকে দ্বারে দ্বারে ঘুরতে না হয়। সুশিক্ষার মাধ্যমে সুনাগরিক হিসেবে একেক জনকে কর্মীতে পরিণত করতে হবে। এমনভাবে তাদের গড়ে তুলতে হবে, যাতে যোগ্যতার কারণে মানুষ ডেকে নিয়ে তাদের কাজ দেন।”

তিনি বলেন, “আমরা সাড়ে ১৫ বছর আন্দোলন করলেও তার পরিসমাপ্তি টানতে পারিনি। আমাদের সন্তানরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিস্টদের বিতারিত করেছে। এই লড়াই-সংগ্রামে যারা নিহত ও আহত হয়েছেন, তাদের ঋণ আমাদের শোধ করতে হবে।”

ফরিদপুর জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মুহাম্মদ বদরুদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও ফরিদপুর অঞ্চলের পরিচালক এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন, কেন্দ্রীয় মজলিসের শুরা সদস্য শামসুল ইসলাম আল বরাটি, শুরা সদস্য প্রফেসর আব্দুত তাওয়াব, মো. কেফায়েত উল্লাহ বক্তব্য রাখেন। 

ঢাকা/তামিম/মাসুদ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়