ঢাকা     মঙ্গলবার   ২১ জানুয়ারি ২০২৫ ||  মাঘ ৭ ১৪৩১

মজুচৌধুরী হাট লঞ্চঘাট নির্মাণে স্থান পরিদর্শন

চাঁদপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:৩৯, ১১ জানুয়ারি ২০২৫  
মজুচৌধুরী হাট লঞ্চঘাট নির্মাণে স্থান পরিদর্শন

মজু চৌধুরী হাট লঞ্চঘাট পরিদর্শন

চাঁদপুর নৌ অঞ্চলের আওতাধীন মজু চৌধুরীহাট লঞ্চঘাট নির্মাণের জন্য এলাকা পরিদর্শন করেছেন নৌ-সংরক্ষণ ও পরিচালনা বিভাগের যুগ্ম পরিচালক শ. আ. মাহফুজ উল আলম মোল্লা। 

ঘাট প্রতিষ্ঠিত হলে সেখান হতে বছরে প্রায় দেড়কোটি টাকা রাজস্ব আদায় সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) বিকালে আধুনিক লঞ্চ টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে মজুচৌধুরী হাট লঞ্চ ঘাট পরিদর্শনকালে এ তথ্য জানান মাহফুজ উল আলম মোল্লা।

এদিন তিনিসহ তার দল ভূমি নির্ধারণে জনমত গ্রহণ, নদীর গতি পথ, টার্মিনাল সড়ক তৈরিসহ নানা বিষয়ে গুরুত্ব সহকারে আলোচনা করেন।

দীর্ঘ ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে লক্ষীপুরের মজু চৌধুরী লঞ্চ ঘাট হয়ে ভোলার ইলিশা লঞ্চঘাটে প্রতিদিন ১২০০-১৫০০ যাত্রী নৌপথে পারাপার করেন। এতে চট্টগ্রাম বিভাগের সাথে ভোলা ও বরিশাল অঞ্চলের দূরত্ব কম হওয়ায় এই নৌপথটি অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। প্রতিদিনই এ নৌপথে ছোট ছোট লঞ্চ ও স্টিমার চলাচল করলেও আধুনিক লঞ্চ টার্মিনাল না থাকায় ভোগান্তি পোহান যাত্রীরা। 

স্থানীয়রা জানান, এই নৌপথে প্রতিদিনই শতশত মানুষ যাতায়াত করে। আধুনিক লঞ্চ টার্মিনাল না থাকায় যাত্রীরা অনেকটা নিরাপত্তাহীনতায় থাকেন। বিশেষ করে নারী যাত্রীরা ঘাটে এসে লঞ্চের অপেক্ষায় থাকাকালীন বসার কোনো নির্ধারিত স্থান পাননা। জরুরি প্রয়োজনে টয়লেটেরও ব্যবস্থা নেই। তাই জরুরি ভিত্তিতে আধুনিক লঞ্চ টার্মিনাল নির্মাণ করা হলে জন ভোগান্তি থাকবে না।

নৌ-সংরক্ষণ ও পরিচালনা বিভাগ চাঁদপুর অঞ্চলের যুগ্ম পরিচালক শ. আ. মাহফুজ উল আলম মোল্লা বলেন, “মজু চৌধুরীহাট লঞ্চ ঘাটসহ চাঁদপুর নৌ অঞ্চলে এই প্রকল্পের আওতায় তিনটি লঞ্চ টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে। এসব টার্মিনালে যাত্রীদের সুবিধার জন্য থাকছে যাত্রী ছাউনীসহ পন্টুন, গ্যাংওয়ে, নতুন রাস্তা, ওয়েটিং সেড ও পার্কিং ইয়ার্ডের ব্যবস্থা। প্রায় ১০০ কোটি টাকা তিনটি লঞ্চ টার্মিনালের জন্য ব্যায় ধরা হয়েছে। ধারণা করছি, মজু চৌধুরী হাট লঞ্চঘাট হতে বছরে এক থেকে দেড় কোটি রাজস্ব আদায় হবে।” 

প্রকল্পটি বাস্তবায়ন ও নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণের জন্য চার সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করে দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ। কমিটির অন্য সদস্য বিআইডব্লিউটিএ চাঁদপুর অঞ্চলের উপ-পরিচালক মো. বছির আলী খান, নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/অমরেশ/এস


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়