গোপালগঞ্জে সমন্বয়কদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা, আহত ৫
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

বশেমুরবিপ্রবি ক্যাম্পাসে সমন্বয়কদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে
গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের ওপর হামলা চালিয়েছে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক আহত হয়েছেন। পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আহত হন আরো দুই সাংবাদিকও।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়টির ক্যাম্পাসে ঘটনাটি ঘটে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মির মো. সাজেদুর রহমানের বলেন, “ছাত্রদের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ক্যাম্পাসের ভেতরে না গেলেও পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে।”
বিশ্ববিদ্যালয়টির বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক জসিম উদদীন বলেন, “জুলাই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম সোহাগ পরীক্ষা শেষে হল থেকে বের হলে সমন্বয়ক ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাকে আটক করে। যখন তাকে পুলিশের কাছে তুলে দেওয়া হচ্ছিল, সে সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়ে সোহাগকে ছাড়িয়ে নেয়। এসময় হামলাকারীরা নিষিদ্ধ সংগঠনের পক্ষে স্লোগান দেয়।”
তিনি আরো বলেন, “তাদের হামলায় আমি ও অপর সমন্বয়ক ওমর শরীফ আহত হই। এসময় বিশ্বিবিদ্যালয়ে আমার দেশ পত্রিকার প্রতিনিধি রাসেল হোসেন, সাংবাদিক আতিক ফয়সাল ও আরো এক শিক্ষার্থী আহত হন। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। হামলার প্রতিবাদে পরে সমন্বয়করা ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন।”
এই সমন্বয়ক বলেন, “ছাত্রলীগের কর্মী সোহাগ ৫ আগস্টের পরেও বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে নিজেকে ছাত্রলীগের কর্মী পরিচয় দিয়ে আধিপত্য দেখাতে থাকেন। এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বিচারের দাবি জানাই। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা প্রক্টরের সঙ্গে কথা বলছি।”
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শিক্ষার্থী বলেন, “প্রক্টরিয়াল বডির এক সদস্যের উপস্থিতিতে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে হামলা চালানো হয়।”
হামলায় আহত অপর সমন্বয়ক ওমর শরীফ বলেন, “ছাত্রলীগ নেতা সোহাগকে আটক করে পুলিশের কাছে তুলে দেওয়ার সময় আমাদের ওপর হামলা হয়েছে।”
বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রক্টর আরিফুজ্জামান রাজিব বলেন, “আমি বন্ধের দিন ছুটিতে বাড়িতে আছি। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফোনে ঘটনা শুনেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে বিষয়টি দেখব।”
ঢাকা/বাদল/মাসুদ