ঢাকা     রোববার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৬ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

বরগুনায় সেতু ভেঙে খালে, হাজারো মানুষের ভোগান্তি

বরগুনা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:২৭, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫   আপডেট: ১৯:৩২, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫
বরগুনায় সেতু ভেঙে খালে, হাজারো মানুষের ভোগান্তি

ভেঙে যাওয়া সেতু

বরগুনার তালতলী উপজেলার খোট্রার চর-মাছ বাজার এলাকার একটি সেতু শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) ভোরের দিকে ভেঙে খালে পড়ে গেছে। এতে ওই এলাকার প্রায় ১০ হাজার মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন। তারা নৌকার সাহায্যে খাল পার হয়ে একপাশ থেকে অন্যপাশে যাতায়াত করছেন।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, ৩০ বছর আগে নির্মিত সেতুটি কখনো সংস্কারের উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। 

আরো পড়ুন:

নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ড. কামরুজ্জামান বাচ্চু বলেন, “স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) উপজেলা শহরের খোট্রার চর-মাছ বাজার এলাকার ভেঙে যাওয়া সেতুটি প্রায় ৩০ বছর আগে নির্মাণ করে। ২০০৭ সালে ঘূর্ণিঝড় সিডরের সময় সেতুটি দেবে যায় এবং বিভিন্ন অংশ ভেঙে যায়। এ ছাড়া, সেতুটি একদিকে হেলে পড়েছিল।”

তিনি আরো বলেন, “এরপর থেকে ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি দীর্ঘ ১৮ বছর পার করলেও সংস্কারের কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার ভোরের দিকে সেতুটি মাঝখান দিয়ে ভেঙে খালে পড়ে যায়। এর ফলে তলতলী শহরের সঙ্গে খোট্রার চরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। স্কুল-কলেজ-মাদরাসার শিক্ষার্থীসহ নানা পেশার মানুষ ডিঙি নৌকায় ঝুঁকি নিয়ে বর্তমানে খাল পারাপার হচ্ছেন।” 

স্থানীয় বাসিন্দা ওবায়দুল কবির বলেন, “৩০ বছর আগে নির্মিত এ সেতুটি দিয়ে আমরা দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতাম। সেতুটি ভেঙে খালে পড়ে যাওয়ায় কারণে চরম ভোগান্তি পোহাতে হবে। যাতায়াতের বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় ডিঙি নৌকায় ঝুঁকি নিয়ে খাল পারাপার হতে হচ্ছে।”

কলেজ শিক্ষার্থী গোলাম সরোয়ার হিরু বলেন, “ভোরের দিকে হঠাৎ সেতুটি ভেঙে যায়। যে কারণে ডিঙি নৌকায় ঝুঁকি নিয়ে খাল পারাপার হতে হবে। এতে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই অতি দ্রুত সেতুটি পুনঃনির্মাণ করার দাবি জানাচ্ছি।”

বরগুনা জেলার এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান খানকে ফোন করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। যে কারণে তার বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।

ভেঙে পড়া সেতু আজ দেখতে যান উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে সালমা। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তিনি বলেন, “সেতুটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। ভোরের দিকে সেতুটি ভেঙে পড়ে যায়। মানুষের চলাচলের জন্য বিকল্প একটি কাঠের সেতু নির্মাণ করে দেওয়া হবে। অতিদ্রুত সেতু পুনঃনির্মাণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।” 

ঢাকা/ইমরান/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়