ঢাকা     রোববার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৬ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

পূর্ব শক্রতার জেরে যুবদল নেতাকে ‘অপহরণ করে মারধর’

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:১৩, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫  
পূর্ব শক্রতার জেরে যুবদল নেতাকে ‘অপহরণ করে মারধর’

ভুক্তভোগী মোরছালিন চৌধুরী।

ফ্ল্যাট বেচাকেনা-সংক্রান্ত ঘটনায় পূর্ব শত্রুতার জেরে যুবদল নেতাকে অপহরণের পর মারধর করা হয়েছে—ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে।

গত রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ভুক্তভোগী মোরছালিন চৌধুরী ব্রাহ্মণবাড়িয়া অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী আমির হোসেনের নামে মামলা দায়ের করেন।

আরো পড়ুন:

মোরছালিন চৌধুরী রাজধানীর গুলশান থানা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল থানার দেওড়ার গ্রামের বাসিন্দা। বর্তমানে ঢাকার নতুনবাজারে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। অভিযুক্ত আমির হোসেন সরাইলস্থ অরুয়াইলের স্থানীয় ব্যবসায়ী।

অভিযোগ থেকে জানা গেছে, অভিযুক্ত আমির হোসেনের সঙ্গে মোরছালিন চৌধুরীর ফ্ল্যাট বেচাকেনা-সংক্রান্ত কাজে পরিচয়। মোরছালিন নিজে মধ্যস্থতা করে পরিচিতের কাছ থেকে অভিযুক্তকে ২৪ লাখ টাকা বকেয়া রেখে ফ্ল্যাট কিনে দেন। এ সময় তিনি ক্রেতা আমির হোসেনের কাছ থেকে প্রমাণস্বরূপ একটি স্বাক্ষরযুক্ত চেক রাখেন। তবে সময় পার হলে টাকা পরিশোধ না হওয়ায় মোরছালিন ক্রেতাকে বকেয়া পরিশোধের তাগাদা দেন। তখন স্থানীয় একটি ঠিকানায় দেখা করে টাকা নিতে জানায় অভিযুক্ত আমির হোসেন। 

মোরছালিন চৌধুরী অভিযুক্তের দেওয়া ঠিকানায় গেলে তিনি তাকে হত্যার ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক সিএনজি অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যায়। উপজেলাধীন অরুয়াইল বাজারস্থ আসামির মালিকানাধীন ‘আমির হোসেন মার্কেটের’ গোপন রুমে নিয়ে বাদীকে মারধর করেন। এরপর তার কাছে রক্ষিত চেক জোর করে ছিনিয়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলেন। এ সময় বাদীকে হত্যার ভয় দেখিয়ে ‘টাকা বুঝিয়ে পেয়েছেন’ বলে নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে সই রাখেন। ভুক্তভোগীকে হাত-পা বেঁধে রুমে বন্দি করে রাখলে গভীর রাতে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির সহায়তায় সেখান থেকে তিনি পালিয়ে আসেন।

ভুক্তভোগী মোরছালিন চৌধুরী বলেন, ‘‘আমাকে বকেয়া টাকা দেবে বলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশ্বরোড ডেকে নিয়ে যায়। এরপর জোরপূর্বক অপহরণ করে আমির হোসেন তার গোপন আস্তানায় নিয়ে নির্যাতন করেন। আমি অন্য একজনের সহায়তায় গভীর রাতে পালিয়ে প্রাণে বাঁচি।’’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে আমির হোসেনকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল হাসান বলেন, ‘‘মামলার কাগজ গতকাল (সোমবার) পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঢাকা/মাইনুদ্দীন/এনএইচ

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়