ঢাকা     শনিবার   ১৫ মার্চ ২০২৫ ||  চৈত্র ২ ১৪৩১

নোয়াখালীতে ইউপি সদস্যকে মারধর করল যুবদল-ছাত্রদল

নোয়াখালী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:০৭, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫   আপডেট: ১৯:১৬, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
নোয়াখালীতে ইউপি সদস্যকে মারধর করল যুবদল-ছাত্রদল

ফাইল ফটো

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় এক ইউপি সদস্যকে মারধর করে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যানকে তার কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে যুবদল ও ছাত্রদল নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। 

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদে ঘটনাটি ঘটে। পরে স্থানীয় বিএনপির নেতারা গিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের কক্ষের তালা খুলে দেন।  

আহত ব্যক্তির নাম মো. শামীম। তিনি গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। 

আরো পড়ুন:

মো. শামীম বলেন, “আমি আওয়ামী লীগ সমর্থনকারী। আমি অতীতে কোনো অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ছিলাম না। গত বছরের ৫ আগস্ট সরকারের পতনের পরও যথারীতি ইউনিয়ন পরিষদে এসে সব কার্যক্রম পরিচালনা করছি।”

তিনি অভিযোগ করে বলেন, “দেড় মাস আগে আমাদের ইউনিয়ন পরিষদে কৃষকদের জন্য সার আসে। আমার ওয়ার্ডের ৪৫ জন কৃষকের নাম সার পাওয়ার তালিকায় ছিল। আজ সকালে গ্রাম পুলিশ ও যুবদল নেতা সোহেলের মাধ্যমে তালিকা অনুসারে সার বিতরণ শুরু হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে একই ওয়ার্ডের যুবদল নেতা রানা, জাবেদ ও ছাত্রদল নেতা মহসিনসহ ১৫-২০ জন ইউনিয়ন পরিষদে যায়। সেখানে তারা আমার কাছে জানতে চান, কার অনুমতি নিয়ে সার বিতরণ করছি। একপর্যায়ে গ্রাম পুলিশের কক্ষে ঢুকে আমাকে বকাবকি করে মারধর করেন তারা। পরে তারা আমাকে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বের করে দেয়। কিছুক্ষণ পর ইউপি চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন মিন্টুকে তার কার্যালয়ের ভেতরে রেখে দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেন তারা।”

গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন মিন্টু বলেন, “নিয়ম অনুযায়ী প্রকৃত কৃষকদের তালিকা করে সার দেওয়া হচ্ছিল। সার বিতরণের সময় ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি মহসিনের নেতৃত্বে ইউপি সদস্যকে মারধর করা হয়। একই সঙ্গে আমার কার্যালয়ে তালা দেওয়া হয়। আমি প্রশাসনের সহায়তা চেয়ে ফোন করলে পুলিশ ও সেনাবাহিনী আসে। তারা আসলে অপরাধীরা পালিয়ে যায়। পরে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির মধ্যস্থতায় বিষয়টি সমাধান করা হয়।”

গোপালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. হাবীবুর রহমান বলেন, “সার বিতরণ নিয়ে হালকা একটা ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ও সেনবাহিনী ঘটনাস্থলে আসে। আলাপ-আলোচনা হয়েছে, আমরা বসে বিষয়টি সমাধান করে নেব।”

তিনি আরো বলেন, “ইউপি চেয়ারম্যানের কক্ষে তালা দেওয়ার ১০-১৫ মিনিট পর আমি তালা খুলে দিয়েছি। রানা ও মহসিন আমাদের দল করে। তবে জাবেদ নামে কাউকে আমি চিনি না।”      

বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি লিটন দেওয়ান বলেন, “ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। এক ইউপি সদস্যের সঙ্গে স্থানীয় ছাত্রদল নেতার বাগবিতণ্ডা হয়। এ নিয়ে চেয়ারম্যানের কাছে বিচার নিয়ে যান তারা। সেখানে চেয়ারম্যানের সঙ্গেও তাদের ভুল বোঝাবুঝি হয়। পরে স্থানীয় বিএনপির নেতারা বিষয়টি সমাধান করেন।”

ঢাকা/সুজন/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়