ঢাকা     সোমবার   ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ৩০ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

ফুল দেয়া নিয়ে ছাত্রদল-গণ অধিকার পরিষদের কথা কাটাকাটি

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৩৬, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫   আপডেট: ১৯:১৭, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় শহীদ মিনারে ফুল দেয়াকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল ও গণ অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মাঝে কথা কাটাকাটির ঘটনা ঘটেছে। এসময় কেন্দ্রীয় ছাত্র অধিকার পরিষদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিষয়ক সম্পাদক সাদমান ইসলাম পলাশকে লাঞ্চিত করারও অভিযোগ উঠেছে। 

গণ অধিকার পরিষদ বলছে শহীদ মিনারে ফুল দেয়ার সময় তাদের বাধা দেয়া হয়। এদিকে ছাত্রদল বলছে তাদের বাধা দেয়া হয়নি, মূল সংগঠনের পর ছাত্রদল শ্রদ্ধা দিবে সেই অনুরোধ করা হয়েছিল।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্ত্বরে এ ঘটনা ঘটে।

জানাগেছে, একুশের প্রথম প্রহরে প্রথমে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের পর বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল শ্রদ্ধা জানায়। এরপরই গণ অধিকার পরিষদ শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ বেদীতে ওঠে। এসময় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা গণঅধিকার পরিষদের আগে শ্রদ্ধা জানাতে চাইলে কথা কাটাকাটি ও বাগবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। এসময় শহীদ মিনার এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি ঠিক করে।

গণ অধিকার পরিষদের কোটালীপাড়া উপজেলা শাখার আহ্বায়ক জালাল বলেন, “আমরা শ্রদ্ধা জানাতে গেলে ছাত্রদল আমাদের ফুল দিতে বাধা দেয়। আমাদের বেদী থেকে নামিয়ে দিতে চেয়েছিল ছাত্রদল। এসময় প্রতিবাদ করলে হাতাহাতির করার চেষ্টা করা হয় কিন্তু তারা সফল
হয়নি।”

কেন্দ্রীয় ছাত্র অধিকার পরিষদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিষয়ক সম্পাদক সাদমান ইসলাম পলাশ বলেন, “বিএনপি শ্রদ্ধা জানানোর পর আমাদের গণ অধিকার পরিষদের নাম ঘোষণা করা হয়। এসময় আমরা ফুল দিতে বেদীতে উঠলে ছাত্রদলের নেতা কর্মীরা আমাদের ধাক্কা দিয়ে উঠে যায়। এসময় তাদের সাথে কথা বলতে গেলে বাগবিতণ্ডার সৃষ্টি হয় এবং আমাকে এক প্রকার লাঞ্চিত করে।”

এ ব্যাপারে কোটালীপাড়া উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক লালন শেখ বলেন, “গণ অধিকার পরিষদকে বাধা দেয়া হয়নি। বিএনপির শ্রদ্ধা জানানোর পর তারা বেদিতে উঠে গেলে আমরা শ্রদ্ধা জানানোর পর তাদেরকে দিতে বলেছিলাম। পরে নেতৃবৃন্দের নির্দেশে তাদেরকে আগে দেয়া হয়।”

হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে কি না এমন প্রশ্নেরে জবাবে তিনি বলেন, “তারা আমাদের প্রতিপক্ষ নয়, তবে ছাত্রলীগ হলে কথা ছিল। তাদের সংগঠনের বয়স শুক্র শুক্রতে মাত্র দুইদিন। তাদের কোন সাংগঠনিক কাযর্ক্রম না থাকলেও তারা এখন ফেসবুক সংগঠন।”

কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, “শ্রদ্ধা জানানোর জন্য বিএনপির নাম ঘোষণা করলে বিএনপি শ্রদ্ধা জানায়। এরপর গণ অধিকার পরিষদ শ্রদ্ধা জানাতে গেলে ছাত্রদলও শ্রদ্ধা জানাতে যায়। এ নিয়ে তাদের সাথে কথা কাটাকাটি হলে বিষয়টি সেখানেই মীমাংসা করে দেয়া হয়।”

ঢাকা/বাদল/এস

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়