ঢাকা     শুক্রবার   ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২০ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

নিয়ন্ত্রণে সুন্দরবনের আগুন, চলছে তল্লাশি

বাগেরহাট প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:০৭, ২৫ মার্চ ২০২৫   আপডেট: ১১:১০, ২৫ মার্চ ২০২৫
নিয়ন্ত্রণে সুন্দরবনের আগুন, চলছে তল্লাশি

সুন্দরবনে আগুনে পুড়ে যাওয়া গাছের কাঠ

সুন্দরবন চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশন সংলগ্ন তেইশের ছিলা এলাকায় লাগা আগুন সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণে এসেছে। প্রায় ৪৮ ঘণ্টা চেষ্টার পর মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সকালে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। 

সুন্দরবনের আগুন নির্বাপনের কাজে নিয়োজিত ফায়ার সার্ভিসের খুলনা কার্যালয়ের সিনিয়র স্টেশন অফিসার সমা আরিফুল হক এ তথ্য জানান। 

আরো পড়ুন:

তিনি বলেন, “রাতে নদীতে জোয়ার আসার সঙ্গে সঙ্গে আমরা আগুন লাগার স্থানে পানি ছিটানো শুরু করি। রাত সাড়ে ৩টা পর্যন্ত আমরা পানি ছিটিয়েছি। রাতে আমরা খুব ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করেছি, বনের কোথাও আগুনের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। এখনো আমাদের সদস্যরা বনের ভেতরে রয়েছে, তারা সর্বশেষ পর্যবেক্ষণ করছেন। বন বিভাগের লোকজনও পর্যবেক্ষণ শুরু করেছে। পর্যবেক্ষণ শেষে বন বিভাগের পক্ষ থেকে আগুন নির্বাপন হয়েছে বলে ঘোষণা দেওয়া হবে।”

ধানসাগর স্টেশন কর্মকর্তা বিপুলেশ্বর রায় বলেন, “রাতভর আমরা সবাই মিলে কাজ করেছি। এখন সর্বশেষ পর্যবেক্ষণ চলছে। আজ সকাল থেকে কোথাও আগুনের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। আশা করি, অগ্নি নির্বাপন সম্পন্ন হয়েছে। আমরা তল্লাশি চালাচ্ছি, সর্বশেষ ড্রোন ক্যামেরা দিয়ে তল্লাশি করা হবে।”

গেল শনিবার সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের ধানসাগর স্টেশনের কলমতেজী বন টহল ফাঁড়ির টেপার বিলে আগুন লাগে। রবিবার সকালে সেই আগুন নেভানো হয়। সুপ্ত আগুন ও ধোয়ার কুন্ডলী খুঁজতে বন বিভাগ ড্রোন ব্যবহার করে। তখন কলমতেজী এলাকা থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে তেইশের ছিলা নামক স্থানে আগুনের খবর পায় বনবিভাগ।

তাৎক্ষনিকভাবে বনবিভাগ, স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক, ভিটিআরটি, সিপিজি সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। সেখানে যাতে আগুন ছড়িয়ে না পড়ে এজন্য তারা ফায়ার লাইন তৈরি করেন। আগুনের স্থল থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে ভোলা নদীতে পাম্প বসিয়ে, রাতেই পানি ছিটানো শুরু করে ফায়ার সার্ভিস ও বনবিভাগ। 

ভোলা নদীতে পানি কম থাকা এবং ভাটার সময় শুকিয়ে যাওয়ায় নিরবিচ্ছন্নভাবে পানি ছেটাতে পারেনি ফায়ার ফাইটাররা। এরপর ভোলা নদীতে জোয়ার এলে আবারো অগ্নিনির্বাপন কাজ শুরু হয়। রাতেও চলে আগুন নেভানোর কাজ। এখন চলছে সর্বশেষ পর্যবেক্ষণ।

ঢাকা/শহিদুল/মাসুদ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়