ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৫ মে ২০২৫ ||  জ্যৈষ্ঠ ১ ১৪৩২

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিক্রির চেষ্টা, কৃষক দল নেতা বহিষ্কার

পাবনা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৫৮, ২২ এপ্রিল ২০২৫  
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিক্রির চেষ্টা, কৃষক দল নেতা বহিষ্কার

বহিষ্কৃত কৃষক দল নেতা সেলিম রেজা

পাবনার চাটমোহরে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিক্রি করতে নিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসীর হাতে আটক হন জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতা সেলিম রেজা। ইউএনও যাওয়ার আগেই তিনি কৌশলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় ওই নেতাকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

সোমবার (২১ এপ্রিল) বিকেলে জাতীয়তাবাদী কৃষক দল ভাঙ্গুড়া উপজেলা শাখার সভাপতি আখিরুজ্জামান মাসুম ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বহিষ্কারের তথ্য জানা যায়। 

অভিযুক্ত সেলিম রেজা ভাঙ্গুড়া উপজেলার অষ্টমনিষা ইউনিয়ন কৃষক দলের আহ্বায়ক ছিলেন।

আরো পড়ুন:

এলাকাবাসী জানান, অষ্টমনিষা ইউনিয়নের হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ৩০ বস্তা চাল ব্যাটারিচালিত ভ্যানে সোমবার দুপুরে চাটমোহরে বিক্রি করতে নিয়ে আসেন সেলিম রেজা। বিষয়টি জানতে পেরে পৌর শহরের জারদিস মোড় এলাকায়  চালসহ সেলিম রেজাকে আটক করেন স্থানীয়রা। 

চাল কোথাকার এবং কোথায় যাবে স্থানীয়দের এমন প্রশ্নে একেক সময় একেক কথা বলেন ওই নেতা। স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তারা ইউএনও মুসা নাসের চৌধুরীকে জানান। তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান সেলিম রেজা। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত দাম নির্ধারণ করে নিলামের মাধ্যমে জব্দকৃত চাল ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করে। 

ঘটনা জানাজানি হলে উপজেলা জুড়ে সমালোচনা শুরু হয়। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হয়। পরে পাবনা জেলা কৃষক দলের সভাপতি আবুল হাসেম ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আফিপ এর সিদ্ধান্ত মোতাবেক ভাঙ্গুড়া উপজেলার অষ্টমনিষা ইউনিয়ন কৃষক দল নেতা সেলিম রেজাকে বহিষ্কার করা হয়।

ভাঙ্গুড়া উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি আখিরুজ্জামান মাসুম বলেন, ‍“দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগের ভিত্তিতে অষ্টমনিষা ইউনিয়ন কৃষক দলের আহ্বায়কের পদ থেকে সেলিম রেজাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। চাল সংক্রান্ত ঘটনায় দলের অন্য কেউ জড়িত আছে কিনা তা জানতে পাঁচ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে।”

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত সেলিম রেজার মোবাইলে কল করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

চাটমোহর উপজেলার ইউএনও মুসা নাসের চৌধুরী বলেন, “খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। চালগুলো ডিলার কর্তৃক বিক্রি করা হয়নি। এই চাল পার্শ্ববর্তী উপজেলার একটি ইউনিয়নের হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দ দেওয়া ছিল। যিনি চাল নিয়ে আসেন তাকে পাওয়া যায়নি। নিলামের মাধ্যমে খোলা বাজারে চাল বিক্রি করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে টাকা জমা দেওয়া হয়েছে।”

ঢাকা/শাহীন/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়