ঢাকা     শনিবার   ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৬ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

ট্রলার যখন নদী পারাপারের ভরসা

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৫৪, ৩ মে ২০২৫   আপডেট: ২২:১৯, ৩ মে ২০২৫
ট্রলার যখন নদী পারাপারের ভরসা

মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ীতে একটি সেতুর অভাবে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে লাখ লাখ মানুষকে। উপজেলার দিঘিরপাড় বাজার সংলগ্ন পদ্মার শাখা নদীতে সেতু না থাকায় ট্রলার একমাত্র যাতায়াতের ভরসা হয়ে উঠেছে। সেতু নির্মাণ হলে মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুর ও চাঁদপুর জেলার মানুষ কোনো সমস্যা ছাড়াই গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন বলে মনে করছেন নদী পাড়ের বাসিন্দারা। 

স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, একটি সেতু তাদের জীবনে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে। যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ার পাশাপাশি অর্থনৈতিক কার্যক্রমও গতিশীল হবে। দ্রুত সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন তারা।

আরো পড়ুন:

জানা গেছে, টঙ্গিবাড়ীর দিঘিরপাড় বাজারের খেয়াঘাটে প্রতিদিন শত শত মানুষ আসা যাওয়া করেন ট্রলারে। তাদের কেউ মুন্সীগঞ্জ শহর বা ঢাকায় যাচ্ছেন, কেউবা বাজার করতে আসছেন। নদীর পাড়ের এই ট্রলারঘাটই তাদের জীবন ও জীবিকার গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। এখানে সেতু নির্মাণ হলে মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী, শরীয়তপুরের নওপাড়া, চরআত্রা, চাঁদপুরের হাইমচরসহ আশপাশের গ্রামের মানুষ উপকৃত হবেন। তাদের যাতায়াতে সময় ও খরচ দুই কমবে।

শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. মাসুদ জমাদ্দার বলেন, “কাজ শেষে বাড়ি ফেরার সময় রাতে ট্রলার পাওয়া যায় না। পেলেও ভাড়া দিতে হয় ১০ গুণ বেশি। আমাদের মুন্সীগঞ্জের দিকে যাতায়াত বেশি। নদী পার হতে প্রতিদিন নানা সমস্যায় পড়তে হয়।”

কলেজ শিক্ষার্থী রিফাত খালাসীর ভাষ্য, “নদীর পশ্চিমপাড়ের রাস্তা অনেক খারাপ। মোটরসাইকেলে ২০০ টাকা ভাড়া দিয়ে দিঘিরপাড়ে আসতে হয়। ট্রলারের জন্য প্রতিদিন ৩০-৪০ মিনিট অপেক্ষা করতে হয়।”

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, নদীর এপার থেকে ওপারে অনেক পণ্য নিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় লাগে। ট্রলার ভাড়া, ট্রলারে পণ্য লোড-আনলোডের জন্য শ্রমিক খরচ এবং দুই পাড়ে পরিবহন বাবদ অনেক টাকা খরচ করতে হয়। সেতু থাকলে তাদের সময় ও টাকা দুই কম ব্যয় হতো বলে জানান তারা। 

টঙ্গিবাড়ী উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী শাহ মোয়াজ্জেম বলেন, ‍‍“দিঘিরপাড় বাজার সংলগ্ন পদ্মার শাখা নদীতে ১০০ মিটারের বেশি দৈর্ঘ্যের একটি সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে। নদীর পশ্চিম পাড়ে চার কিলোমিটার দীর্ঘ একটি আরসিসি সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনাও রয়েছে। প্রাথমিক মাটি পরীক্ষা ও সার্ভে সম্পন্ন করেছে বুয়েটের বিশেষজ্ঞ দল। এখন নকশা তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দের জন্য আবেদন করা হবে।”

ঢাকা/রতন/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়