পুকুরে কুয়েট শিক্ষার্থীর মৃত্যু, বাবা জানেন ছেলে অসুস্থ
নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা || রাইজিংবিডি.কম
শান্তনু কর্মকার
গোসল করতে নেমে পুকুরের পানিতে ডুবে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ মে) দুপুরে কুয়েট ক্যাম্পাসের ভেতেরে থাকা একটি পুকুরে ঘটনাটি ঘটে। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) আবুল বাসার মোহাম্মাদ আতিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে মারা যাওয়া শিক্ষার্থীর বাবা জানেন তার ছেলে অসুস্থ। সে খুলনা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিসাধীন। পরিবার নিয়ে ময়মনসিংহে বেড়াতে যাওয়া ওই শিক্ষার্থীর পরিবার খুলনার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে।
মারা যাওয়া শিক্ষার্থীর নাম শান্তনু কর্মকার (২১)। তিনি কুয়েটের মেটারিয়াল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি পাবনার বেড়া উপজেলা সদরের কর্মকারপাড়ার সুকুমার চন্দ্র কর্মকারের ছেলে। বর্তমানে তার পরিবার ঢাকার জজকোর্ট এলাকার বাসিন্দা।
কুয়েট সূত্র জানায়, মঙ্গলবার দুপুর সোয়া ৩টার দিকে শান্তনু কর্মকার খানজাহান আলী হল সংলগ্ন পুকুরে বন্ধুদের সঙ্গে গোসল করতে নামেন। এরপর তিনি নিখোঁজ জন। কুয়েটের শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা তাকে উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল এসে পুকুর থেকে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে। খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে শান্তনু কর্মকারকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
শান্তনু কর্মকারের বাবা সুকুমার চন্দ্র কর্মকার বিকেল ৫টায় বলেন, “ছেলের অসুস্থতার খবর পেয়েছি। শুনেছি, সে এখন খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আমরা ময়মনসিংহে বেড়াতে এসেছি। খবর পেয়ে খুলনায় রওনা দিচ্ছি।”
কেএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) আবুল বাসার মোহাম্মাদ আতিকুর রহমান বলেন, “মারা যাওয়া শিক্ষার্থীর মরদেহ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ