লামিয়া ধর্ষণ মামলার আসামি ইমরান গ্রেপ্তার
পটুয়াখালী (উপকূল) প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
গ্রেপ্তার ইমরান মুন্সী
পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার আলোচিত কলেজছাত্রী লামিয়া আক্তার সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার আসামি ইমরান মুন্সীকে (১৮) গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
রবিবার (১১ মে) বিকাল ৫টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বরিশালের এয়ারপোর্ট থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পটুয়াখালী জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) আহমেদ মাইনুল হাসান।
গত ৭ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দুমকি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম পটুয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে অভিযুক্তরা হলেন, শাকিব মুন্সী, সিফাত মুন্সী এবং ইমরান মুন্সী। এর মধ্যে শাকিব ও সিফাতকে আগেই গ্রেপ্তার করে যশোর শিশু সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে।
পটুয়াখালী জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহমেদ মাইনুল হাসান বলেন, ‘‘ইমরান মুন্সীকে গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক টিম ধারাবাহিকভাবে অভিযান পরিচালনা করে আসছিল। তিনি গ্রেপ্তার এড়াতে বারবার অবস্থান পরিবর্তন করছিলেন। অবশেষে সফলভাবে তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে। ভিকটিমের পরিবার যাতে ন্যায়বিচার পায়, সেজন্য আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে মামলা পরিচালনা করছি।’’
লামিয়ার বাবা জসিম উদ্দিন গত ১৯ জুলাই গণঅভ্যুত্থান চলাকালে ঢাকার মোহাম্মদপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত হন। পরে তার গ্রামের বাড়ি দুমকির পাঙ্গাশিয়া গ্রামে দাফন করা হয়।
গত ১৮ মার্চ সন্ধ্যায় বাবার কবর জিয়ারত শেষে নানাবাড়ি ফেরার পথে দুমকির রাজগঞ্জ গ্রামে লামিয়াকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। পর দিন লামিয়া আক্তার নিজে বাদী হয়ে দুমকি থানায় মামলা করেন। ঘটনার প্রায় এক মাস পর, ২৬ এপ্রিল রাত ১০টার দিকে রাজধানীর শেখেরটেক এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে লামিয়ার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে বাবার কবরের পাশে দাফন করা হয়।
ধর্ষণ মামলায় ইমরান মুন্সীকে আসামি করা হয় এবং তদন্তকালেও তার নাম উঠে আসে। এরপর থেকে তাকে গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালিয়ে আসছিল।
ঢাকা/ইমরান/বকুল