দলের সব নেতাকর্মী ৩১ দফার অ্যাম্বাসেডর: সালাউদ্দিন আহমদ
নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা || রাইজিংবিডি.কম

‘শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও মৌলিক অধিকার নিয়ে তারুণ্যের ভাবনা’ শীর্ষক খুলনা-বরিশাল বিভাগীয় সেমিনারে বক্তব্য দেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমদ। তার পাশে ছিলেন বিজেপি চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ (বাঁয়ে)
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমদ বলেছেন, “বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফা রাজনীতির মহাকাব্য। এই দফার মধ্যেই শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানসহ মানুষের মৌলিক অধিকার এবং বাস্তবায়নের পথ দেখানো হয়েছে। আমাদের এই ভাবনাকে জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে। দলের সব নেতাকর্মী ও তরুণরা প্রত্যেকেই এই ৩১ দফার অ্যাম্বাসেডর।”
শুক্রবার (১৬ মে) সন্ধ্যায় খুলনা প্রেস ক্লাবের ব্যাংকুয়েট হলে ‘শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও মৌলিক অধিকার নিয়ে তারুণ্যের ভাবনা’ শীর্ষক খুলনা-বরিশাল বিভাগীয় সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল এ সেমিনারের আয়োজন করে। কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন শনিবার (১৭ মে) নগরীর সার্কিট হাউজ ময়দানে বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
সালাউদ্দিন আহমদ বলেন, “আওয়ামী লীগের ইতিহাস গণতন্ত্র হত্যার ইতিহাস, আওয়ামী লীগের ইতিহাস একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তনের ইতিহাস। সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা বিলোপ করে একদলীয় বাকশাল কায়েমের ইতিহাস। এই যে চোরতন্ত্রের ওয়ারিশি ব্যবস্থা- আওয়ামী লীগের শেখ মুজিব থেকে শুরু করে শেখ হাসিনা পর্যন্ত করেছে।”
তিনি বলেন, “জাতীয় নির্বাচনের মধ্যদিয়ে প্রবঞ্চনামূলক সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছিল ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালে। এর ফলে রাষ্ট্রের অভিভাবকত্বের মধ্যে দুনীর্তিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া হয়েছিল। সেই কারণে শেখ হাসিনার সময় একটি অবৈধ ফ্যাসিবাদী শাসন ব্যবস্থা কায়েম হয়েছিল। সেই অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য আমাদের শতশত নেতাকর্মীদের জীবন দিতে হয়েছে।”
বিএনপির এই নেতা বলেন, “জনতার রক্তের যে প্রত্যাশা বা আকঙ্খা সেটিকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরে ফ্যাসিবাদ বিরোধী জাতীয় ঐক্যকে শক্তিশালী করে সবার আগে বাংলাদেশ- এই নীতি আমাদের প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।”
এর আগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা মাহদী আমিনের উপস্থাপনায় সেমিনারে বক্তব্য দেন- বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ, বিডিজবস-এর প্রতিষ্ঠাতা ফাহিম মাশরুর, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. মারুফ মল্লিক, চিন্তক ও সম্পাদক রেজাউল করিম রনি, এ এম জেড হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. সায়েম মোহাম্মদ, ইউনিভার্সিটি অফ সেন্ট্রাল ফ্লোরিডার অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম খন্দকার, শিখো’র প্রতিষ্ঠাতা শাহীর চৌধুরী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা সুলতানা, ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ সিঙ্গাপুরের সহযোগী অধ্যাপক ড. তৌফিক জোয়ার্দার।
সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বাবী হেলাল, যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানী, যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, যুবদলের কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন তারেকসহ স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতারা।
সেমিনারে আলোচকরা শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থান বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য উপস্থাপন করেন। তারা বলেন, কর্মসংস্থানে নিজেদের যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। মাতৃভাষার পাশাপাশি আরো ২-৩টি বিদেশি ভাষা শিখতে হবে। ইন্টারনেট ব্যয় হ্রাস, প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে।
ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ