ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৪ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ভেসে গেছে সাঁকো, দুর্ভোগে ১১ গ্রামবাসী

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:১১, ১৯ মে ২০২৫   আপডেট: ১৫:২৯, ১৯ মে ২০২৫
বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ভেসে গেছে সাঁকো, দুর্ভোগে ১১ গ্রামবাসী

ভেসে গেছে জিঞ্জিরাম নদীর উপর থাকা ২শ ফুটের কাঠের সাঁকো

গত কয়েক দিনের বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে কুড়িগ্রামের রৌমারীর জিঞ্জিরাম নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ভেসে গেছে জিঞ্জিরাম নদীর উপর থাকা ২শ ফুটের কাঠের সাঁকো। এতে রৌমারী উপজেলা শহরের সাথে প্রায় ১১ গ্রামের ৩০ হাজার মানুষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে । এসব গ্রামের উপজেলার সাথে যোগাযোগে এই কাঠের সাঁকোটিই একমাত্র ভরসা। 

শনিবার (১৭ মে) পাহাড়ি ঢলে সাঁকোটি ভেঙে যায় বলে জানিয়েছেন গ্রামবাসী। 

ওই এলাকার হায়দার আলী, আক্তার হোসেন জানান, প্রায় ২শ ফিট কাঠের সাঁকোর মাঝে ভেঙে যাওয়ায় রৌমারী উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের লালকুড়া, বকবান্দা, ব্যাপাড়ীপারা, বকবান্দা নামাপাড়া, খেওয়ারচর, আগলারচর, ঝাউবাড়ী, পাঠাধোয়াপাড়াসহ ১১টি গ্রামবাসীর যাতায়াতে বিঘ্নের সৃষ্টি হয়েছে। রৌমারী উপজেলা শহরের সাথে যোগাযোগ রক্ষার একমাত্র সড়ক এটি। 

এ কাঠের সাঁকোটিই কৃষকের কৃষি পূর্ণ বাজারজাতকরণ, ধান, শাকসবজি, তরিতরকারি বাজারে আনা নেওয়ার পথ। এছাড়াও স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ লোকজন প্রতিদিন যাতায়াত করে থাকেন। বর্তমানে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন বাসিন্দারা। 

জানা যায়, দেশ স্বাধীনের পর থেকে এই জিঞ্জিরাম নদীতে ছোট নৌকা দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত পারাপার হতো ১১ গ্রামের মানুষ। পড়ে এই গ্রামগুলোর দুর্ভোগ কমাতে জিঞ্জিরাম নদীর উপর নির্মাণ করা হয় এই কাঠের সাঁকোটি। এরপর থেকে নানাভাবে সাঁকোটির সংস্কার হয়ে যাতায়াতের এই পথটি সুগম থাকে।

সংশ্লিষ্ট যাদুরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সরবেশ আলী বলেন, “গত কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শনিবার জিঞ্জিরাম নদীর উপর থাকা কাঠের সাঁকোটি ভেঙে পড়ায় ৩০ হাজার মানুষের যাতায়াত বন্ধ হয়ে গেছে। বিষয়টি আমি স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়েছি।”

রৌমারী উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) উজ্জ্বল কুমার হালদার বলেন, “এ বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানদের বলা আছে বৃষ্টি কিংবা অন্য কোনো কারণে ক্ষতি হলে সেটি প্রকল্পের মাধ্যমে কাজ করা হবে।”

ঢাকা/বাদশাহ্/টিপু

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়