ঢাকা     শনিবার   ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৫ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

জাল সনদে চাকরির অভিযোগ, শিক্ষককে মাউশি’র নোটিশ

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:১০, ২৫ জুন ২০২৫   আপডেট: ১১:২৩, ২৫ জুন ২০২৫
জাল সনদে চাকরির অভিযোগ, শিক্ষককে মাউশি’র নোটিশ

অভিযুক্ত প্রভাষক সামছুজ্জোহা রঞ্জু

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় এক প্রভাষকের জাল সনদের কারণে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। 

অভিযুক্ত প্রভাষক সামছুজ্জোহা রঞ্জু ভেড়ামারা আদর্শ ডিগ্রি কলেজের কম্পিউটার শিক্ষক। তিনি বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে নিজেকে ঘোষণা দিয়েছেন।

এ নিয়ে অধ্যক্ষ ও কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতির সাথে রেষারেষি চরমে পৌঁছেছে। প্রভাষক সামছুজ্জোহার বিরুদ্ধে কম্পিউটার শিক্ষা সনদ তদন্তে জাল অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পর কেন বেতন বন্ধ করা হবে না জানতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়েছে।

জানা গেছে, ২০০২ সালের ১ অক্টোবর তারিখে জাল কম্পিউটার সনদ দেখিয়ে তিনি কলেজে প্রভাষক পদে নিয়োগ পান এবং পরবর্তীতে এমপিওভুক্ত হয়ে দীর্ঘ সময় ধরে সরকার থেকে বেতন-ভাতা উত্তোলন করে আসছেন। সম্প্রতি তিনি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদ জোর করে বাগিয়ে নেন। 

বিষয়টি নিয়ে কলেজেরই অপর প্রভাষক মো. আব্দুল কাইয়ুম কর্তৃক দাখিল করা এক লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে মাউশি তদন্ত শুরু করে।

তদন্তে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ার পর মে ২০২৫ সালে অনুষ্ঠিত এমপিও কমিটির সভায় (১২ মে ২০২৫, ক্রমিক ২৩) সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সিদ্ধান্তে প্রভাষক সামছুজ্জোহা রঞ্জুকে জাল সনদের কারণে (স্টে পেমেন্ট) বেতন/ভাতা বন্ধ করার বিষয়ে কারণ দর্শানোর চিঠি দেওয়া হয়। জবাবের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানা গেছে। 

মাউশির নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০২১ এর ১৭.৯ এবং ১৮.১(৬) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কেন তার এমপিও স্থগিতসহ প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না-তা জানতে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে হবে। পাশাপাশি কলেজের বৈধ অধ্যক্ষকে লিখিত ব্যাখ্যা এবং গভর্নিং বডির সভাপতিকে মতামত প্রদান করতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে প্রভাষক সামছুজ্জোহা রঞ্জু বলেন, “আমার কম্পিউটার সনদ জাল নয়, এটি ষড়যন্ত্র।”

কলেজের অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান বলেন, “মাউশি কর্তৃক নোটিশ পেয়েছি ওই শিক্ষকের কম্পিউটার সনদ জাল। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ প্রমাণ পেয়েছে। তবে কলেজে এই শিক্ষকের জল সনদে চাকরি করার বিষয়টি নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে কানাঘুষা চলে আসছে।”

ঢাকা/কাঞ্চন/এস

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়