অধ্যাপক ইউনূস ও তারেক রহমানের মিটিংয়ের পর স্থিতিশীলতা এসেছে: শরিফ
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের আহ্বায়ক শরিফ উদ্দিন জুয়েল (বাঁম দিক থেকে তিন নম্বর)
ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের আহ্বায়ক শরিফ উদ্দিন জুয়েল বলেছেন, “বিএনপি গত ১৭ বছর ধরে মানুষের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য আন্দোলন করে যাচ্ছে। লন্ডনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তারেক রহমানের মিটিংয়ের পর বাংলাদেশে একটা স্থিতিশীল অবস্থা ফেরত এসেছে।”
সোমবার (৩০ জুন) দুপুরে কুষ্টিয়া শহরের একটি রেষ্টুরেন্টে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শরিফ উদ্দিন জুয়েল বলেন, “দৌলতপুরের ছেলে হিসেবে আমি এখন দৌলতপুরে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছি। প্রতিটি নেতাকর্মীর খোঁজ খবর রাখছি।”
ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতনের আন্দোলনে অংশ হতে পেরে গর্বিত জানিয়ে তিনি বলেন, “গত ১৭ বছরে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে ৩০০’র বেশি মামলার আসামি হয়েছি। ২৮টি গুলিবিদ্ধ শরীর নিয়েও সরকার পতনের আন্দোলন চালিয়ে গেছি।”
যুবদলের এই নেতা বলেন, “আমার রাজনীতির বয়স ৩১ বছর। এই ৩১ বছরের মধ্যে ৩১ মিনিটও আমার রাজনীতিতে গ্যাপ নেই। বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের একজন কর্মী হিসেবে পরিচয় দিতে আমি সবচেয়ে বেশি গর্ববোধ করি।”
কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনে সংসদ সদস্য প্রার্থী হবেন কিনা জানতে চাইলে শরিফ উদ্দিন জুয়েল বলেন, “দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয় তাহলে আমি নির্বাচন করতে প্রস্তত আছি।”
মনোনয়ন না পেলে কি করবেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “দল যাকেই মনোনয়ন দেবে, তার জন্যই আমি শতভাগ উজাড় করে দিয়ে কাজ করব। মনোনয়ন পেলে দলের কর্মী, না পেলে দলের কর্মী না; আমি মোটেও সেই নীতিতে বিশ্বাসী না।”
মতবিনময় সভায় কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আলতাফ হোসেন, দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মন্টি সরকার, কুষ্টিয়া সদর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আব্দুল মজিদ, জেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব খন্দকার তসলিম উদ্দিন নিশাতসহ স্থানীয় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/কাঞ্চন/মাসুদ