ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৪ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

‌‘উপজেলায় এখন কী কাজ’ বলেই সাবেক মেয়রের ছেলেকে মারধর

রাজশাহী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:০০, ২ জুলাই ২০২৫  
‌‘উপজেলায় এখন কী কাজ’ বলেই সাবেক মেয়রের ছেলেকে মারধর

কামরুল হাসান

‘দল ক্ষমতায় নেই। উপজেলায় এখন কী কাজ’- এ কথা বলেই রাজশাহীর বাগমারায় রাজনীতিতে নিষিদ্ধ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও ভবানীগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আবদুল মালেকের ছেলে কামরুল হাসানকে মারধর করা হয়েছে। পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর বিএনপির সভাপতি আবদুর রাজ্জাক এবং তার ছেলে হারুন-অর-রশিদসহ কিছু লোক তাকে মারধর করেন বলে অভিযোগ।

মারধরের শিকার কামরুল হাসান ঠিকাদারি করেন। বকেয়া একটি বিল নিতে বুধবার (২ জুলাই) দুপুরে তিনি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ে যান। তখনই তিনি মারধরের শিকার হন। তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটিও ভাঙচুর করা হয়েছে। পরে এক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান তাকে নিজের মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। ওই চেয়ারম্যান কামরুলকে তার বাড়ি পৌঁছে দেন।

আরো পড়ুন:

কামরুল হাসানের বাবা সাবেক পৌর মেয়র আবদুল মালেক বলেন, “একটি বিল নেওয়ার জন্য আমার ছেলে এলজিইডি অফিসে গিয়েছিল। সেখানে তাকে সাবেক মেয়র আবদুর রাজ্জাকের ছেলে হারুনসহ কয়েকজন ধরে মারধর করে। তাদের কথা, দল ক্ষমতায় নেই এখন আমার ছেলের সেখানে কী কাজ। এখন সব কাজ তারা করবে। মারের চোটে আমার ছেলে ইঞ্জিনিয়ারের রুমে গিয়ে আশ্রয় নেয়। পরে রাজ্জাক নিজেই এসে আমার ছেলেকে বের করে আরেকদফা মারধর করেন।”

তিনি বলেন, “সঙ্গে নিয়ে যাওয়া মোটরসাইকেলটি ভাঙচুর করা হয়েছে। ঘটনার সময় সেখান দিয়ে একজন ইউপি চেয়ারম্যান যাচ্ছিলেন। তিনি আমার ছেলেকে দ্রুত তার মোটরসাইকেলে তুলে বাড়িতে নামিয়ে গেছেন। তা না হলে ছেলেকে তারা মেরেই ফেলত। এখন আমাদের কথা শোনার কেউ নাই। থানাতেও কোনো অভিযোগ আমরা করব না।”

জানতে চাইলে সাবেক মেয়র ও বিএনপি নেতা আবদুর রাজ্জাক বলেন, “আমার ছেলেসহ কিছু লোক সেখানে ছিল। কথা কাটাকাটি হচ্ছিল। আমি ছিলাম এসিল্যান্ডের রুমে। এসিল্যান্ড আমাকে বললেন যে, আমি যেন সবাইকে শান্ত করে পাঠিয়ে দেই। আমি সেটাই করেছি। মারধরের ঘটনা ঘটেনি। নিজের মোটরসাইকেল ফেলে যাওয়ার সময় সেটি পড়ে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।”

বাগমারা থানার ওসি তৌহিদুল ইসলাম বলেন, “মারধরের ঘটনা ঘটেছে, তবে সিরিয়াস কিছু না। পুলিশ যাওয়ার আগেই সবাই চলে গেছে। এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেননি।”

ঢাকা/কেয়া/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়