তারেক রহমানের চাচাত ভাই পরিচয়ে প্রতারণা, যুবক গ্রেপ্তার
বগুড়া প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
গ্রেপ্তার প্রতারক শামীম রহমান
নিজেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের চাচাত ভাই হিসেবে পরিচয় দিতেন শামীম রহমান (৩৩) এক নামে এক যুবক। শুধু তারেক রহমানের ভাই নন, এসএসসি পান না করলেও ব্যারিস্টার হিসেবে বিভিন্ন জনের কাছে পরিচয় দিতেন তিনি। দীর্ঘদিন তিনি এই দুই পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। সর্বশেষ বগুড়ার দুই রাজনৈতিক ব্যক্তিকে কেন্দ্রীয় যুবদল ও বগুড়া জেলা যুবদলের পদ পাইয়ে দেবার কথা বলে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সকাল ৭টার দিকে রাজধানীর উত্তরা ৪নং সেক্টর থেকে তাকে বগুড়া জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি গ্রেপ্তার করে। তাকে বগুড়ায় নিয়ে আসার পর দুপুর ২টার দিকে জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মুহাম্মদ রায়হান প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়গুলো জানান।
গ্রেপ্তার শামীম রহমান বগুড়ার নিশিন্দারা কারবালা এলাকার মৃত লীলু মিয়ার ছেলে।
ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মুহাম্মদ রায়হান জানান, সম্প্রতি বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ইমরান হোসেন ও গোলাম রব্বানী নামে দুজনের সঙ্গে শামীম রহমানের পরিচয় হয়। সেই সময় শামীম নিজেকে তারেক রহমানের চাচাত ভাই হিসেবে পরিচয় দেন। আর পেশা হিসেবে নিজেকে ব্যারিস্টার বলে দাবি করেন। পরিচয়ের একপর্যায়ে তাদের দলীয় পদ পাইয়ে দেয়ার লোভ দেখান শামীম। পরবর্তীতে গত ২২ জুন শামীম মোবাইল ফোনে ইমরান ও রব্বানীকে বগুড়ার মমইন কফিশপে ডেকে নেন। সেখানে যাওয়ার পর ইমরান হোসেনকে বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় যুবদলের পদের জন্য ২ লাখ এবং গোলাম রব্বানীকে জেলা যুবদলের পদ দেয়ার কথা বলে ১ লাখ টাকা দাবি করেন। আলাপচারিতা শেষে ইমরান হোসেন নগদ ৩০ হাজার ও গোলাম রব্বানী ২০ হাজার টাকা দেন শামীমকে। এ ঘটনার পর ইমরান ও রব্বানী খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, শামীম রহমান নামে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের চাচাত ভাই নেই।
বিষয়টি নিয়ে হারুন-উর রশিদ নামে এক ব্যক্তি বুধবার (২ জুলাই) বগুড়া সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশের টিম মাঠে নামে। পরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আজ বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সকালে ঢাকার উত্তরা থেকে শামীম রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মুহাম্মদ রায়হান আরো জানান, শামীম রহমান এসএসসি পাস করেননি। তিনি কোনো ব্যারিস্টার নন। তাকে গ্রেপ্তারের সময় বিভিন্ন কোম্পানির সিম কার্ড, দুটি মোবাইল ফোন, বিভিন্ন ব্যাংকের চারটি এটিএম কার্ড ও নিজ নামীয় বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি স্বাক্ষরিত ফাঁকা চেক উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এই মামলায় বিকেলে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা/এনাম/বকুল