কোটালীপাড়ায় গণগ্রেপ্তারের অভিযোগ বিএনপির
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
কোটালীপাড়ার ঘাঘর বাজারে রবিবার সংবাদ সম্মেলন করে উপজেলা বিএনপি
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় নাশকতা মামলায় নিরীহ মানুষকে হয়রানি ও গণগ্রেপ্তারের অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছে উপজেলা ও পৌর বিএনপি।
রবিবার (২০ জুলাই) উপজেলা ঘাঘর বাজারে দলটির অস্থায়ী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সোমবার (২১ জুলাই) কোটালীপাড়া থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, “উপজেলা বিএনপির যে গণগ্রেপ্তারের অভিযোগ এনেছে এটি সঠিক নয়। ১৬ জুলাই গাছ কেটে সড়ক অবরোধ করা হয়েছিল। সেই সূত্র ধরেই মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। কোথাও কোনো ভাবেই গণগ্রেপ্তার করা হচ্ছে না, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে আসামি গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।”
কোটালীপাড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি এস এম মহিউদ্দিন লিখিত বক্তব্যে বলেন, “দায়ের হওয়া মামলা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, কোটালীপাড়ার বিভিন্ন স্তরের জনতা, ছাত্র, শিক্ষক, কৃষক, ভ্যানচালক, দিনমজুকে ধরে নিয়ে আসামি করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে কোটালীপাড়া থানা পুলিশ। আমরা এই নিরীহ মানুষদের গ্রেপ্তারের নিন্দা জানাচ্ছি।”
তিনি বলেন, “যদি একজন নিরীহ মানুষকে হয়রানি বা গ্রেপ্তার করা হয়, তাহলে আমরা উপজেলার সাধারণ মানুষদের সঙ্গে নিয়ে প্রতিবাদ জানাব।”
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার হাওলাদার বলেন, “এই মামলায় কোটালীপাড়ার সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত। তারা ঘরে ঘুমাতে পারছেন না। কোটালীপাড়ার মানুষ এটাকে গণগ্রেপ্তার হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।”
তিনি বলেন, “মামলার সঙ্গে কোটালীপাড়া উপজেলা বিএনপি বা এর সহযোগী সংগঠনের কেউ জড়িত নন।”
কোটালীপাড়া পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ওলিউর রহমান হাওলাদার বলেন, “মামলায় অনেক সাধারণ মানুষকে আসামি করা হয়েছে, যারা কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন। অনেক শ্রমজীবী মানুষকে এই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”
গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, “গণগ্রেপ্তার বা নির্দোষ ব্যক্তি যাতে গ্রেপ্তার না হয় যে বিষয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দোষীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।”
গত ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রা কর্মসূচিতে বাধা সৃষ্টির জন্য গোপালগঞ্জ-পয়সারহাট সড়কের কোটালীপাড়া উপজেলার অবদার হাট এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কোটালীপাড়া উপজেলা শাখা ও তাদের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় কোটালীপাড়া থানার এসআই উত্তম কুমার সেন বাদী হয়ে ১৫৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং নাম না জানা ১৫০০ জনকে আসামি করে গত শুক্রবার মামলা করেন। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ৩০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ঢাকা/বাদল/মাসুদ